
ছবিঃ সংগৃহীত
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনের অঙ্গ। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ ডেটা—সবই আমরা সংরক্ষণ করি এই ছোট ডিভাইসটিতে। কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সাইবার হুমকিও। অনেক অ্যাপই ব্যবহারকারীর অজান্তে ডেটা চুরি করে থাকে, যার ফলে তৈরি হয় বড় ধরনের আর্থিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঝুঁকি।
আজ আমরা এমন ৫টি অ্যাপ সম্পর্কে জানাব, যেগুলো ব্যবহারকারীদের ডেটা চুরি করত এবং যার প্রমাণ পাওয়ায় গুগল প্লে স্টোর থেকে সেগুলো রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। আপনার ফোনে যদি এখনো এই অ্যাপগুলো থেকে থাকে, তাহলে এখনই সেগুলো আনইনস্টল করে দিন।
১. Privee Talk
এক সময় জনপ্রিয় একটি চ্যাটিং ও কলিং অ্যাপ ছিল এটি। যদিও তারা প্রাইভেসির নিশ্চয়তা দিয়েছিল, বাস্তবে অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের গোপনীয় মেসেজ, ভিডিও ও তথ্য ফাঁস করে ব্ল্যাকমেইলের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে। ব্যবহারকারীদের ডেটা চুরির প্রমাণ মেলায় গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি রিমুভ করা হয়।
২. Let’s Chat
একাধিক ইউজারকে একসঙ্গে সংযুক্ত করে চ্যাট করার সুযোগ থাকায় এই অ্যাপটিও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সকল ডেটার এক্সেস নেয় এবং কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই ডেটা স্টোর করে রাখত। প্লে স্টোর কর্তৃপক্ষের নজরে এলে এটি সরিয়ে দেওয়া হয়।
৩. Quick Chat
এই চ্যাটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কন্টাক্ট লিস্ট, সার্চ হিস্টোরি সহ নানা তথ্য সংগ্রহ করে তা তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করত। ব্যবহারকারীরা অজান্তেই জালিয়াতির ফাঁদে পড়ে যেত। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে গুগল এটি ব্যান করে।
৪. Chit Chat
এটি একটি এআই (AI) ভিত্তিক কথোপকথনের অ্যাপ ছিল। ব্যবহারকারীরা ভাবত তারা শুধু একটি রোবটের সঙ্গে গল্প করছে, কিন্তু মূলত এই অ্যাপ সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করত এবং সেগুলো ডেটা ট্রান্সফারে ব্যবহার করত। এটি সন্দেহজনক কার্যকলাপের কারণে গুগলের নজরে পড়ে এবং রিমুভ করা হয়।
৫. Rafaqat
একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে প্লে স্টোরে এলেও, জটিল ফিচার এবং দুর্বল পারফরম্যান্সের কারণে ব্যবহারকারীরা এটি নেগেটিভ রেটিং দিতে থাকে। পাশাপাশি গোপনে ইউজার ডেটা সংগ্রহের অভিযোগও ছিল। গুগলের নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটায় অ্যাপটি বাতিল করা হয়।
কী করবেন আপনি?
-
শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
-
থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড সাইট থেকে দূরে থাকুন।
-
অ্যাপ ইন্সটলের সময় পারমিশন চেক করুন—একটি ঘড়ি অ্যাপ যদি আপনার কন্টাক্ট, মাইক্রোফোন বা ক্যামেরার এক্সেস চায়, সাবধান হন।
-
রিভিউ ও রেটিং দেখুন।
-
কোনো অ্যাপ সন্দেহজনক মনে হলে তা দ্রুত আনইনস্টল করুন।
ইমরান