ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

সাহিত্য

সাহিত্য বিভাগের সব খবর

বোহেমিয়ার স্ক্যান্ডাল

বোহেমিয়ার স্ক্যান্ডাল

(পূর্ব প্রকাশের পর) দুজনে মিলে প্ল্যান করলাম ইংল্যান্ড ছেড়ে চলে যাওয়াই ভালো হবে- কেননা আমাদের পিছে লেগেছেন বিখ্যাত ডিটেকটিভ মিস্টার শার্লক হোমস। আপনি এসে দেখবেন নীড় ফাঁকা, পাখি উড়ে গেছে। হ্যাঁ ছবিটার বিষয়ে বলি...আপনার ক্লায়েন্টকে জানাবেন তার দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তার থেকে শ্রেয় একজন মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি আমি- আমিও তাকে ভালোবাসি। রাজাকে বলবেন তিনি যে নারীকে দুঃখ দিয়েছেন, সে আর কখনো তাকে বিরক্ত করবে না। ছবিটা আমি রেখে দিলাম সাবধানতা হিসেবে, অস্ত্র হিসেবে- যাতে আমাকেও কেউ আর বিরক্ত না করতে পারে। আমার একটা ছবিও আমি দিয়ে গেলাম রাজাকে। আমার শেষ উপহার। আপনার একান্ত- ইরিন নর্টন এডলার

ইউসেফ কোমুনিয়াকার কবিতা

ইউসেফ কোমুনিয়াকার কবিতা

ইউসেফ কোমুনিয়াকা ১৯৪৭ সালের ২৯ এপ্রিল লুইসিয়ানার বোগালুসায় জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে ওঠেন তিনি সে সময়ের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ভেতর। কবিতায় দৃঢ় ও সাহসী বক্তব্যের জন্য খ্যাতি পেয়েছেন। কোমুনিয়াকা ভিয়েতনাম যুদ্ধে সামরিক সংবাদপত্র ‘সাউদার্ন ক্রস’-এর একজন সংবাদদাতা এবং সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতা তাঁর কবিতায় প্রভাব ফেলেছিল, বিশেষ করে তাঁর ‘ডিয়েন কাই দাউ’ (১৯৮৮) সংকলনে যা যুদ্ধের নৃশংস বাস্তবতা তুলে ধরে।  ১৯৭৩ সালে তিনি জেমস উইলি ব্রাউন জুনিয়র থেকে তাঁর নাম পরিবর্তন করে ইউসেফ কোমুনিয়াকা রাখেন তাঁর দাদার নামে, যিনি পশ্চিম আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। এই নাম পরিবর্তন পূর্বপুরুষের সঙ্গে তাঁর সংযোগ এবং কবি হিসেবে পরিচয় প্রতিফলিত করে।  কোমুনিয়াকা নিউ অরলিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। কবিতার জন্য পেয়েছেন পুলিৎজারসহ অনেক পুরস্কার। বর্তমানে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ  দরবেশের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এই কবিতার প্রেক্ষাপট। এই কবিতায় চিফ স্ট্যান্ডিং বিয়ার ছিলেন লাকোটা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একজন নেতা। তিনি ইউরো-আমেরিকান সংস্কৃতিতে শিক্ষিত হন এবং তাদের জনগণের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেন।  

স্বপ্নরা ছাই হয়ে উড়ে যায়

স্বপ্নরা ছাই হয়ে উড়ে যায়

মাইলস্টোন স্কুলের মাঠে তখনো ছড়ানো কচিকাঁচাদের রঙিন ব্যাগ, হঠাৎ আকাশ ছিঁড়ে পড়ল মৃত্যুবরণ ঘুম। বিমানটা কেবল একটা যন্ত্র ছিল, কিন্তু তার নিচে দাঁড়ানো ছিল একেকটা স্বপ্ন কেউ পাইলট হবে, ডাক্তার হবে, কবি হবে, কেউ বা মায়ের হাত ধরে প্রথম এসেছিল স্কুলে। শুধু একটি দুপুরেই ভেঙে গেল শত দিনের পাঠচিত্র। বাবা-মার চোখে রয়ে গেল জমাট বাঁধা প্রশ্ন, “আমার শিশুটি কোথায়?” এ শহরের বাতাসে এখন বারবার ফিরে আসে ছোট ছোট জুতোর শব্দ, চিৎকারে ভরা নীরবতা, যা শুধু সন্তানহারা মা-বাবাই বোঝে। টিফিনবক্সে রাখা ছিল ভালোবাসা, আজ তা নেই রয়ে গেছে শুধু পুড়ে যাওয়া চিহ্ন, ঝলসে যাওয়া নামের ট্যাগ। একটি ক্লাসরুম আজ অদৃশ্য, তবু প্রতিদিন চেয়ারগুলো খালি থাকে মনে হয়, কেউ এখনো এসে বসবে। মাইলস্টোন আজ শুধু একটি স্কুল নয়, এক সমাধিক্ষেত্র, যেখানে শিশুরা স্বপ্ন নয়, ছাই হয়ে উড়ে যায়।

বোহেমিয়ার স্ক্যান্ডাল

বোহেমিয়ার স্ক্যান্ডাল

(পূর্ব প্রকাশের পর) থাকবো না, ফটোটাও থাকবে না। হিজ ম্যাজেস্টি নিজ হাতে নিজের ফটো উদ্ধার করবেন, সেটাই ভালো হবে।’ ‘কটার সময় আসবো এখানে?’ ‘সকাল আটটায়। তখনো গৃহকর্ত্রী বিছানায় থাকবেন। আমরা ফাঁকা ময়দান পাবো। যা করার ঝটপট করতে হবে ডাক্তার। কেননা বিয়ের পর গৃহকর্ত্রীর জীবনে নানারকম পরিবর্তন ঘটবে এখন, যে কোনো সময়। রাজাকে এখনই মেসেজ পাঠাতে হবে।’আমরা বেকার স্ট্রিটে পৌঁছে গেলাম। দরজায় দাঁড়িয়ে আছি, হোমস চাবির জন্য পকেট হাতড়াচ্ছে। এমন সময় কে যেন আমাদের পাশ দিয়ে চলে গেল। যেতে যেতে বললো, ‘গুড নাইট, মিস্টার শার্লক হোমস।’ আশপাশে অনেক মানুষ। ওভারকোট পরা ছিপছিপে এক যুবককে দেখলাম দ্রুত চলে যাচ্ছেÑ মনে হলো সে-ই কথাটা বলেছে। ‘গলাটা খুব চেনা চেনা লাগলো।’ আধো অন্ধকার গলির দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো হোমস। ‘ভাবছি...কে এই যুবক!’

দিব্যনারী

দিব্যনারী

কলেজ থেকে ফিরে নিজের রুমে ঢুকে দরজা এঁটে দিয়েছি। বালিশে মুখ গুঁজে কিছুক্ষণ কেঁদেকেটে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি, জেগে দেখি পুরো পৃথিবী আঁধার। ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। এখনও হচ্ছে। তবে মুষলধারায় নয়, টিপ টিপ করে। কখনও বেড়ে যাচ্ছে, আবার কমছে। কিন্তু থামছে না। কিছুক্ষণের মধ্যে যে থামবে সে-রকম কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। আকাশের বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে ছেঁড়াখোঁড়া মেঘ। পেজা তুলোর মতো হালকা ভাসমান এসব মেঘ সূর্যকে রেখেছে ঢেকে। যতক্ষণ না বৃষ্টি ঝরিয়ে নিঃশেষ হবে ততক্ষণ ভাসতে থাকবে। আমি বসে আছি বারান্দার ব্যালকনিতে। বাইরে ঘোলাটে মেঘলা আকাশ, এলোমেলো বাতাস, গাছেদের দোলাচল ও শুকনো পাতার ঝরে পড়া দেখছি। বৃষ্টি থামার একটু পরে পূব দিগন্তের শেষ সীমানা অবধি একটা বাঁকা রংধনু ভেসে উঠেছে তাও দেখছি আর ভাবছিÑ এসব দেখার মতো আমার কোনও চক্ষু ছিল না। সে আমাকে চক্ষু দিয়েছে। আমি শ্রবণ-বধির ছিলাম না। যদিও আমার চোখ, কান, মুখ, হাত-পা সবই আছে।