ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

দিব্যনারী

বাসার তাসাউফ

প্রকাশিত: ২১:৪০, ২৪ জুলাই ২০২৫

দিব্যনারী

দিব্যনারী

কলেজ থেকে ফিরে নিজের রুমে ঢুকে দরজা এঁটে দিয়েছি। বালিশে মুখ গুঁজে কিছুক্ষণ কেঁদেকেটে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি, জেগে দেখি পুরো পৃথিবী আঁধার। ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। এখনও হচ্ছে। তবে মুষলধারায় নয়, টিপ টিপ করে। কখনও বেড়ে যাচ্ছে, আবার কমছে। কিন্তু থামছে না। কিছুক্ষণের মধ্যে যে থামবে সে-রকম কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। আকাশের বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে ছেঁড়াখোঁড়া মেঘ। পেজা তুলোর মতো হালকা ভাসমান এসব মেঘ সূর্যকে রেখেছে ঢেকে। যতক্ষণ না বৃষ্টি ঝরিয়ে নিঃশেষ হবে ততক্ষণ ভাসতে থাকবে।
আমি বসে আছি বারান্দার ব্যালকনিতে। বাইরে ঘোলাটে মেঘলা আকাশ, এলোমেলো বাতাস, গাছেদের দোলাচল ও শুকনো পাতার ঝরে পড়া দেখছি। বৃষ্টি থামার একটু পরে পূব দিগন্তের শেষ সীমানা অবধি একটা বাঁকা রংধনু ভেসে উঠেছে তাও দেখছি আর ভাবছিÑ এসব দেখার মতো আমার কোনও চক্ষু ছিল না। সে আমাকে চক্ষু দিয়েছে। আমি শ্রবণ-বধির ছিলাম না। যদিও আমার চোখ, কান, মুখ, হাত-পা সবই আছে।

কিন্তু পৃথিবী দেখার মতো, পাখির মধুরতম কূজন শোনার মতো দিব্যদৃষ্টি ও শ্রবণেন্দ্রীয় ছিল না। আমি ছিলাম অতিসাধারণ, লাজন¤্র ও বোকাসোকা একটি মেয়ে। কথা বলতাম শুধু নিজের সঙ্গে। কারণÑসারাক্ষণ কেবল মগ্ন থাকতাম নিজেকে নিয়ে। সে আমাকে নতুন এক পৃথিবীতে এনে দাঁড় করিয়েছেÑ যেখানে আমি একেবারে সদ্যজাত শিশুর মতো। সে আমাকে চলতে শিখিয়েছে, বলতে শিখিয়েছে, মোমের মতো গলতে না শিখিয়ে প্রদীপের মতো জ্বলতে শিখিয়েÑ অবশেষে লক্ষ্য থেকে পিছু না টলতে শিখিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা আমাকে সে চোখে চোখে রেখেছে আর চোখের ভেতরে বপন করে দিয়েছে স্বপ্নবীজ।

আমাকে ডুবতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে ভেসে উঠে জলকেলি করতে। ঝর্ণার মধ্যে ¯œান করতে শিখিয়েছে, ডুবসাঁতারের মাঝেও যে অবগাহনের আনন্দ উপভোগ করা যায় তাও শিখিয়েছে। পদ্মফুলের মতো ফুটতে শিখিয়েছে স্বচ্ছ সরোবরে, শিখিয়েছে প্রজাপতির মতো রঙিন পাখা মেলে উড়ে বেড়াতে। ভাঙতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে গড়তে আর জীবন মানে যে ভাঙাগড়ার খেলাÑ শিখিয়েছে তাও। বিনিময়ে আমার কাছে কিছুই চায়নি। শুধু চেয়েছে আমি যেন তার সঙ্গে এই পৃথিবীটা দেখি, দেখি এমনভাবে ঠিক যে-ভাবে সে দেখে। এতেই আমার বিপত্তি ছিল।

তাকে আমি শ্রদ্ধা করি, কৃতজ্ঞও তার কাছে। কিন্তু তার সঙ্গে একই ছাদের তলে থাকতে হবে তা কিছুতেই আমি মেনে নিতে পারছি না। যাপিত জীবনের প্রায় সবটুকুতেই দুই কান উৎকর্ণ করে তার স্তোত্র শুনেছি। সে আমাকে প্রস্ফুটিত, উন্মুক্ত ও অনবগুণ্ঠিত করেছে এ কথা আমি অস্বীকার করি না। বিনিময়ে সে আমাকে অন্য কারও হতে না দিয়ে নিজেই দাবি করে বসবে তা আগে বুঝিনি। 
এখানে কথাটা বলে রাখি, সে ছিল আমার গৃহশিক্ষক। তবে আমার সঙ্গে তার বিয়ের কথা হওয়ার পর থেকে আর গৃহে আসে না পড়াতে। অবশ্য এলেই যে আমি তার কাছে পড়তে বসব সে নিশ্চয়তা দিতে পারি না।    
বারান্দার এই ব্যালকনিটাতে বৃষ্টির ছাঁট এসে আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে শরীরজুড়ে শীতলতা এনে দিয়েছে। কিন্তু মনের ভেতরে বেদনার উষ্ণতা। সেই উষ্ণতা আরও বাড়িয়ে দিতেই কিনা মা এসে বলল, ‘অপ্সরা, তোর ফোন এসেছে।’
আমার কাছে সচরাচর কোনও ছেলের ফোন আসে না, শুধু ঐ লোকটার ফোন ছাড়া। নিশ্চয়ই এখন তার কাছ থেকেই ফোনটাই এসেছে। ইচ্ছে না হলেও মুঠোফোনটা হাতে নিতে হলো। ভীষণ বিরক্ত লাগে তার সঙ্গে কথা বলতে। ফোনটা কানের কাছে ধরেই সেই পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম, ‘হ্যালো অপ্সরা! কী করো?’
আমি আমার মনের ভেতরের উথালপাথাল অবস্থা সামলে নিয়ে স্বাভাবিক গলায় বললাম, ‘কিছুই করি না, কথা বলছি।’ 
‘আজ সকালে একটা নতুন কবিতা লিখেছি, শুনবে?’ বলেই আমাকে আর কিছুই বলার সুযোগ না দিয়ে হড়ভড় করে কবিতা আবৃত্তি করতে লাগল সে। আমি কানের কাছ থেকে মুঠোফোনটা সরিয়ে রাখলাম। সে কবিতা-টবিতা লেখে। যতবারই আমার সঙ্গে কথা বলেÑ অপ্রাসঙ্গিক হলেও নিজের লেখা কবিতার অন্তত দুই লাইন আমাকে শোনাবার ব্যর্থ চেষ্টা করে। আমি তার কবিতা কানে শুনলেও কখনও মন পর্যন্ত পৌঁছেনি। এসব আমার বরাবরের মতোই অপছন্দ। এমন আরও অনেক বিষয় আছে যা সে পছন্দ করে কিন্তু আমি করি না।

আমি ভালোবাসি রক গান শুনতে, তার প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত। আমি ভালোবাসি রজনীগন্ধা, তার প্রিয় গোলাপ। আমার প্রিয় টিভি চ্যানেল স্টার প্লাস, সে দেখতে ভালোবাসে স্টার স্পোর্টস। অন্য যে কারও সঙ্গে আমার বিয়ে হলে হতে পারে; কিন্তু এমন লোকের সঙ্গে? কখনও না। কোনও দিন না। কোনও ভাবেই না। 
আমি একজন সাধারণ মেয়ে। স্বপ্নও দেখি খুব সাধারণ। মধ্যবিত্তের তেল-নুন, পেঁয়াজ-রসুন, কাঁচা মরিচ আর মোটা চালের ভাতের এক জীবনই স্বপ্ন। তবু আমার জীবনসঙ্গী হবে যে তাকে আমার ভালো লাগা ও ভালোবাসার মূল্য দিতেই হবে। এই লোকটা কি তা করবে কিংবা আদৌ কি তার সঙ্গে আমার মিল হবে? মিলন সে তো অনেক পরের বিষয়। আমার পরীক্ষা শেষ হলেই নাকি সম্পন্ন করা হবে বিয়ের কাজটি। তার বাবা-মাকে পাঁচ বছর ধরে এ রকম কথা দিয়ে রেখেছে মা, আমার মতামত না নিয়েই।

এ কথাটা ভাবলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। বিয়ের মতো এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কি এতটা অপরিকল্পিতভাবে গ্রহণ করা যায়? তবু আমার বাবা ও মা সিদ্ধান্তটা গ্রহণ করেছে। আমার মতামত উপেক্ষা করেই। আমি তো প্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়ে। অনার্স শেষ বর্ষে পড়ছি। আমার কি নিজের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো দক্ষতা কিংবা বিচক্ষণতা নেই? 
তার কথাবার্তা শুনলে মনে হয় আমাদের সম্পর্কটা যেন কত দিনের পুরানো ও পরিণত! সে এমনভাবে কথা বলে যে মনে হয়, সম্পর্কটা আর আবেগের ওপর দাঁড়িয়ে নেই, আছে দায়িত্বের ওপর এবং সেই দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত সে। কিন্তু বিষয়টা আমি কীভাবে নিচ্ছি এবং তাকে নিয়ে যে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই সে বুঝতে পারে না অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করে।  
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, কেন তার প্রতি আমার কোনও আগ্রহ নেই বা তাকে বিয়ে করতে আমার এত আপত্তি কেন? সে কি আমার যোগ্য নয়? আসলে যোগ্যতা কিংবা অযোগ্যতার নিক্তিতে মাপতে গেলে খুব সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করা যায়। তার যোগ্যতা বলতে চার-পাঁচটা একাডেমিক সার্টিফিকেট, একটা বেসরকারি স্কুলে অল্প বেতনে চাকরি আর গল্প-কবিতা লেখতে পারা ছাড়া আর কী আছে? মনে পড়ে, তার প্রথম কবিতার বই প্রকাশ হওয়ার পর আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য উন্মাদের মতো ছুটে এসেছিল।

বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে যথারীতি আমাকে। নিজের গাঁটের টাকা আর বন্ধুদের কাছ থেকে ধারদেনা করে প্রকাশ করা সেই বইয়ের সব কটা কবিতাই আমাকে নিয়ে লেখা। সে হয়তো ভেবেছিল, বইয়ের উৎসর্গপত্রে নিজের নাম দেখে আমি সারপ্রাইজ হব। সারপ্রাইজ হলেও তাকে বুঝতে দেইনি। আমি বইটি খুলে তো দেখিইনিÑ উৎসর্গ করার জন্য ভদ্রতা করে ধন্যবাদও দিইনি। তাতে সে একটুও রাগ করেনি, এমনকী তার মন একটুও ক্ষুণœ হয়নি। তার এই গুণটা আছে। আমার অতি রূঢ় আচরণেও কখনও ব্যথা পায় না।

কখনও আমার মতের বিরুদ্ধে কিছু বলে না এবং আমার ক্ষতি হয় কিংবা আমি কষ্ট পেতে পারিÑ এমন কোনও কাজ কখনও করে না। এটা কি আমাকে ভালোবাসে বলে? হয়তো। আমি জানি, সে আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। আপনাদের মনে হতে পারে, আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে বলেই তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ছদ্ধ অভিনয় করেছি। না, মোটেও না। আমি সোজা-সাপটা কথা বলা ও সরল-সহজ পথ চলা মেয়ে। কখনও কোনও ভান-ভনিতা করার মতো হীন কাজ করিনি। কারও সঙ্গেই না। 
‘অপ্সরা, কবিতাটা কেমন হয়েছে, ভালো না?’ খুব আবেগী গলায় জানতে চাইল সে।
আমি তো তার কবিতা শুনিনি! তবু ছোট করে বললাম, ‘ভালোই।’   
‘ধন্যবাদ।’ বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিল সে। 
আমি আবার ব্যালকনিতে ফিরে গেলাম। বিকেলটা এখানেই কেটে গেল। রাতে খাবার টেবিলে এসে মাকে বললাম, ‘আম্মা, ভাত দাও।’
টেবিলে খাবার বেড়ে দিয়ে মা বলল, ‘ডিসেম্বরের শেষে বিয়ের ডেট ফেললে তোর কোনও অসুবিধা হবে না তো!’ 
মুক্তা আপু সালাদে লেবু চাপছিল। মায়ের কথা শেষ না হতেই সে বলল, ‘ওর পরীক্ষা তো নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তায়ই ডেট ফাইনাল করে ফেলো।’
‘যাহ! এত তাড়াতাড়ি!’ 
‘শুভ কাজে দেরি করতে নেই।’
‘তা বটে। তবে তাড়াহুড়ো করতেও নেই। শপিং করা, আত্মীয়-স্বজন দাওয়াত দেওয়া, কত কাজ আছে।’
আমি নিঃশব্দে খেতে খেতে মা ও আপুর কথা শুনছি আর মনে মনে হাসছি। কী অসম্ভব বিষয় নিয়ে ভাবছে বাড়ির লোকেরা। যে ঘটনা কখনও ঘটবেই না সেটা নিয়ে এত কথা হচ্ছে কেন?
মা আমার পাশের চেয়ারটাতে বসতে বসতে বলল, ‘অনিকেতের মা ফোন দিয়েছিল। ওরা আর দেরি করতে চায় না।’
‘অসম্ভব! আমি মরে গেলেও ঐ লোকটাকে বিয়ে করব না।’ 
এ কথাটি মনে মনে বলে প্লেটের খাবার পুরোপুরি শেষ না করেই উঠে পড়লাম। নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে ফুঁপিয়ে কাঁদলাম কিছুক্ষণ। বুকের ভেতরে, একেবারে গহীনে যেখানে মন থাকেÑ সেখানে স্তূপাকারে সাজিয়ে রাখা আমার আশাগুলো, স্বপ্নগুলো টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এলোমেলো হয়ে পড়ল। বুকের ভেতর থেকে হৃৎপি-টা বেরিয়ে আসতে চাইল এ কথাটি ভেবে যে, জীবনের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটিবারও আমার মতামতের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়নি বাবা-মায়ের।
আমি চলে এলেও মা আর মুক্তা আপুর কথা থামেনি। আমি কান পেতে শুনতে লাগলাম। মা বলল, ‘ওর কি অন্য কোথাও অ্যাফেয়ার আছে? কিছু বলেছে তোর কাছে?’
মুক্তা আপু বলল, ‘না, সেরকম হলে অন্তত আমাকে জানাত।’
‘ও অনিকেতকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না কেন?’
‘উনাকে নাকি ওর পছন্দ না।’
‘ও কি তোকে এ কথা বলেছে?’
‘না, মুখ দেখেই তো বোঝা যায়।’
মা আর কোনও কথা বলল না। আমি মনে মনে বললাম, মুক্তা আপু ঠিক কথাটাই বলে দিয়েছে। আসলে আমি তাকে স্যার হিসেবে শ্রদ্ধা করি, স্বামী হিসেবে কখনও ভাবতেও পারি না।
দরজার ওপাশ থেকে মা ডাকল, ‘অপ্সরা দরজা খোল, তোর ফোন এসেছে।’
আমি মুঠোফোনটা ফেলে এসেছিলাম। রাতে ঘুমোতে যাবার আগে সে ফোন করে। এটা তার প্রত্যেক দিনের অভ্যেস। মায়ের কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে বেশ শব্দ করে দরজাটা বন্ধ করে দিলাম। আমি যে লোকটার ওপর বিরক্ত সেটা বোঝাতে চেষ্টা করলাম মাকে। মা নিঃশব্দে চলে গেল। 
বিছানায় শুয়ে ফোনটা কানের কাছে ধরতেই তার গলার আওয়াজ পেলাম, ‘হ্যালো অপ্সরা!’  
‘জি, বলেন।’ 
‘আমি সরাসরি একটা কথা বলি, শোনো। আমি খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চাই তোমাকে।’
‘আপনি চাইলেই তো হবে না। আমাকেও তো চাইতে হবে।’
‘তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে রাজি নও?’
‘সে কথা আমি এখন আপনাকে বলব না।’
সে আর কোনও কথা বলেনি। ফোন কেটে দিয়েছে। জানি, এখন মাকে ফোন করবে। করুক। আমি তো মায়ের কথায়ও তাকে বিয়ে করতে রাজি হব না। যতই জোরাজুরি করুক। আমি সিদ্ধান্তে অটল থাকবÑ এ সিদ্ধান্ত স্থির হয়ে আমি নিজের ঘরে এসে রবীন্দ্রনাথের বইয়ে মগ্ন হলাম। মন ভালো রাখার উপায় হিসেবে আজকাল একটু একটু বই পড়তে শুরু করেছি। শুরু করেছি ‘গল্পগুচ্ছ’ দিয়ে। কাল ‘হৈমন্তী’ গল্পটা পড়ে শেষ করেছি। এটা পড়েছি আগেও। সেটা কলেজে অধ্যয়নের সময়। অসম্ভব ভালো লেগেছিল বলে আবার পড়তে ইচ্ছে হলো, ‘কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না...!’
জানি না, আমার জীবনগল্পের শেষ পাতাটি কীভাবে লেখা হবে। আপাতত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে ধার করে বলা যায়- ‘হয়তো একদিন মার অনুরোধ অগ্রাহ্য করিতে পারিব না, ইহাও সম্ভব হইতে পারে। কারণ- থাক্, আর কাজ কী।’

প্যানেল হু

×