
ছবি: সংগৃহীত।
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর ঘোষণাটি—যে ফ্রান্স হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম পশ্চিমা সদস্য রাষ্ট্র যারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে—তা আসলে একটি কৌশল। এর মাধ্যমে তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস (যিনি হামাসের একটি মধ্যপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী) এবং অন্যান্য আঞ্চলিক অংশীদারদের কাছ থেকে কিছু ছাড় আদায় করতে চান।
কার্নেগি ইউরোপ থিংক ট্যাঙ্কের পরিচালিত স্ট্র্যাটেজিক ইউরোপ ব্লগের প্রধান সম্পাদক রিম মমতাজ বলেন,
“এখানে ম্যাক্রো একটি অনুঘটকের (catalyst) ভূমিকা পালন করছেন, যেন ফিলিস্তিনিরা প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করে এবং আরব রাষ্ট্রগুলো স্থিতিশীলতা রক্ষার বাহিনী ও হামাসকে নিরস্ত্রীকরণে অগ্রণী ভূমিকা নেয়।”
অন্যদিকে অনেকে মনে করেন, এই স্বীকৃতির প্রতীকী গুরুত্ব থাকলেও, গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও কার্যকর কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ে উঠবে না।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক আমজাদ ইরাকি বলেন,
“ফ্রান্সের মতো ইউরোপীয় শক্তিধর দেশের স্বীকৃতি ইসরায়েলের অনড় নীতির প্রতি ক্রমবর্ধমান হতাশার ইঙ্গিত দেয়।”
সূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান
মিরাজ খান