
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাগলা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল গ্রামে ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বিয়ের দেড় মাস পর স্বামী জানতে পারেন, তার স্ত্রী পরিচয়ে থাকা সামিয়া আদতে একজন পুরুষ। এই খবরে এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র আলোড়ন ও নানা প্রশ্ন।
ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান শান্ত জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের সূত্রে সামিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুই পরিবার মিলে ৭ জুন তাদের বিয়ে সম্পন্ন করে। এরপর ঈদের দিন স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন শান্ত। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, বিয়ের পর থেকে সামিয়া নানা অজুহাতে তার কাছ থেকে দূরে থাকতেন।
শান্ত বলেন, “আমার স্ত্রী সব সময় ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলত। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখত। একপর্যায়ে আমার সন্দেহ হয়। আমি কিছু পরীক্ষা করি, এবং তখনই আমার চোখ খুলে যায়।”
তিনি অভিযোগ করেন, স্ত্রী ঘুমিয়ে থাকার সময় একরকমভাবে তার শরীর পরীক্ষা করে তিনি নিশ্চিত হন সামিয়া একজন নারী নন। ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর সামিয়া উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে শান্তকে মারধর করেন।
এ ঘটনার পর শান্ত সামিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার বাবা বাদল খান বলেন, “বিয়ের আগে ছেলের মা, বোনের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু কেউ একবারের জন্যও বলেনি সামিয়া ছেলে। ওরা আমাদের বলেছে, মেয়ে আমাদের কাছে বেড়াতে এসেছে। এমনকি সামিয়া কোরআন শরীফ ছুঁয়ে মেয়ে হওয়ার শপথও করেছে।”
পরবর্তীতে সামিয়া স্বীকার করেন যে তিনি জন্মগতভাবে পুরুষ হলেও নিজেকে নারী হিসেবে উপস্থাপন করেন। শান্ত বলেন, “যদি ও আমাকে আগে বলে দিত, আমি এমন পরিস্থিতিতে পড়তাম না। এটা একটা সামাজিক প্রতারণা।”
এলাকাবাসীও বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, তারা এতদিন ধরে সামিয়াকে মেয়ে বলেই চিনতেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা এড়াতে সামিয়াকে কৌশলে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “আমরা মারধর করিনি। সে স্বেচ্ছায় নিজ বাড়িতে চলে গেছে।”
Jahan