ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

গাজায় ত্রাণ ঢুকলেও মানুষের হাতে কেন পৌঁছায় না?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ২৭ জুলাই ২০২৫

গাজায় ত্রাণ ঢুকলেও মানুষের হাতে কেন পৌঁছায় না?

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর মিছিল থামছে না। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১২৭ জন, যার মধ্যে ৮৫ জন শিশু, খাদ্য ঘাটতি ও অপুষ্টির কারণে মৃত্যুবরণ করেছে।

তবে ইসরায়েল সরকারের দাবি ভিন্ন। তারা বলছে, “গাজায় কোন দুর্ভিক্ষ নেই”, বরং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দায়িত্বে গাফিলতির কারণেই খাদ্য গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। অথচ বাস্তবতা হলো, মার্চ ২০২৪ থেকে ইসরায়েল একাধিকবার জাতিসংঘের খাদ্যবাহী কনভয় আটক করেছে, এবং উত্তর গাজার জনগণকে স্থানত্যাগে বাধ্য করেছে।

মে মাসে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে গঠিত হয় GHF (Gaza Humanitarian Foundation)। এই সংস্থা UN-এর ৪০০টি বিতরণ পয়েন্ট বাতিল করে মাত্র ৪টি বিতরণ পয়েন্ট চালু করে, যা নিয়মিত কাজ করে না। মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত GHF বিতরণ পয়েন্টে খাদ্য নিতে গিয়ে ১,০০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

COGAT (Coordinator of Government Activities in the Territories) বলছে, গাজার কিছু অঞ্চলে “খাদ্য সমস্যার প্রবণতা” থাকলেও সেখানে দুর্ভিক্ষ নেই। একইসাথে ইসরায়েল দাবি করেছে UN খাদ্য বিতরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি তারা ১,০০০ ট্রাকের খাবার পোড়ানো বা মাটিচাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থাকে হামাসের সাথে সম্পর্কিত বলে অভিযোগ করেছেন, কিন্তু কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। জাতিসংঘ ও ইউএসএআইডি (USAID) এর অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনেও হামাস দ্বারা নিয়মিত ত্রাণ চুরি হচ্ছে এমন প্রমাণ নেই। বরং ইসরায়েল-ঘনিষ্ঠ অপরাধী চক্র খাদ্য সহায়তা লুট করছে বলেই অভিযোগ উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের শরীরে চর্বি ও পেশি কম, কিন্তু শরীরের কাজ বেশি। ফলে তারা খুব দ্রুত খাদ্য সংকটে পড়ে এবং বাঁচার সম্ভাবনাও কমে যায়।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলকে গাজায় অবরোধ তুলতে বাধ্য করার একমাত্র ক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে। 

মুমু ২

×