ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

ট্রাম্পের মায়ের গল্প: ছোট দ্বীপ থেকে নিউ ইয়র্কের রাজকীয় জীবন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০২, ২৭ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্পের মায়ের গল্প: ছোট দ্বীপ থেকে নিউ ইয়র্কের রাজকীয় জীবন

ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি বর্তমানে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, তার মায়ের সঙ্গে স্কটল্যান্ডের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তার মা মেরি অ্যান ম্যাকলাউড জন্মগ্রহণ করেছিলেন হেব্রাইড দ্বীপপুঞ্জের লুইস দ্বীপের ছোট্ট গ্রাম টং-এ। সেখান থেকে ১৮ বছর বয়সে তিনি পাড়ি জমান নিউ ইয়র্কে একটি একেবারে আলাদা জীবনের খোঁজে।

মেরি অ্যান জন্মগ্রহণ করেন ১৯১২ সালে। তার বাবা মালকম ম্যাকলাউড ছিলেন একজন পোস্টমাস্টার এবং ছোট দোকানের মালিক। পরিবারটি টং গ্রামে অপেক্ষাকৃত সচ্ছল হলেও, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯১৯ সালের আইওলারে নৌকাডুবির ধাক্কায় দ্বীপের জীবন হয়ে পড়ে কঠিন। হাজারো তরুণ-তরুণী তখন দ্বীপ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছিল।

১৯৩০ সালে, বড় বোন ক্যাথারিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান মেরি অ্যান। প্রথমে নিউ ইয়র্কে একটি ধনী পরিবারে গৃহপরিচারিকার কাজ পান। তবে ওয়াল স্ট্রিট ধস এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাকরি হারিয়ে ফিরে যান স্কটল্যান্ডে।

স্কটল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার পরেও নিউ ইয়র্কের প্রেম তাকে টেনে নেয়। ১৯৩৬ সালে, তিনি বিয়ে করেন জার্মান অভিবাসীদের ছেলে এবং সফল রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ফ্রেড ট্রাম্পকে। এই দম্পতির চতুর্থ সন্তান ছিলেন ডোনাল্ড জন ট্রাম্প।

মেরি অ্যান তার পুরো জীবন জুড়ে গ্যালিক ভাষা ব্যবহার করতেন এবং নিয়মিত স্কটল্যান্ডে যেতেন। তিনি ২০০০ সালে, ৮৮ বছর বয়সে মারা যান।

তবে তার পরিবার এখনও লুইস দ্বীপে বাস করে। তিনজন চাচাতো ভাই বোন এখনো সেখানে আছেন, যাদের কেউই মিডিয়ার সামনে মুখ খোলেননি।

স্থানীয় কাউন্সিলর জন এ ম্যাকআইভার জানান, “মেরি অ্যান একজন অত্যন্ত সম্মানিত মানুষ ছিলেন। তিনি এখানে এলেই গির্জায় আসতেন।”

তিনি ১৯৪২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং নিউ ইয়র্কের কুইন্সে রাজকীয় জীবনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। সামাজিক ও দাতব্য কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন।

মুমু ২

×