
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হরিদ্বারে মানসা দেবী মন্দিরে রবিবার সকালে ভিড়ের চাপে পদদলনের ঘটনায় অন্তত সাত জন ভক্ত নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে— বৈদ্যুতিক তারে কারেন্ট ছড়ানোর গুজব ছড়িয়ে পড়ায় মন্দির প্রাঙ্গণে আতঙ্ক ছড়ায়। এ সময় হঠাৎ করেই ভক্তদের মধ্যে ঠেলাঠেলি ও হুড়োহুড়ি শুরু হয়, এবং সিঁড়ির কাছে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
হরিদ্বার জেলার সিনিয়র পুলিশ সুপার পারমেন্দ্র সিং ডোবল জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক তারে কারেন্ট আছে—এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে লোকজন দ্রুত স্থান ত্যাগের চেষ্টা করে। এতে হুড়োহুড়ি বাধে এবং অনেকে পড়ে গিয়ে পদদলিত হন।”
ঘটনার খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) ও অগ্নিনির্বাপণ দল অংশ নিয়েছে।
ঘটনাস্থলে ফরেনসিক তদন্ত চলছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
ঘটনার পরপরই গভীর শোক প্রকাশ করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, “মানসা দেবী মন্দিরে পদদলনের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে নেমেছে। আমি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি মা মানসার কাছে প্রার্থনা করি যেন সব ভক্ত নিরাপদে থাকেন।”
উল্লেখ্য, শ্রাবণ মাস উপলক্ষে প্রতিবছর হাজার হাজার হিন্দু তীর্থযাত্রী হরিদ্বারের হর কি পৌড়ি এবং মানসা দেবী মন্দিরে ভিড় করেন। এ বছরও সেই ধর্মীয় ভিড়েই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ওই মর্মান্তিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছিলেন ভক্তরা। এমন সময় হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়লে সবাই দিকভ্রান্ত হয়ে দৌঁড়াতে শুরু করেন এবং অনেকে পড়ে যান।
সানজানা