
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জোয়ারের পানি মাঠে আটকে অধিকাংশ আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। বীজতলা নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। চলমান আমনের মৌসুমে বীজ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে তিনদিন ধরে জোয়ারের অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার সবগুলো ফসলের মাঠে হাঁটু পানি জমা হয়ে আছে। জোয়ারের সময় পানি বাড়ে কিন্তু ভাটায় তেমন পানি না কমার কারণে মাঠে পানি জমা থেকেই যায়। যে সব খালে স্লুইস গেট নাই সেসব খালের পাশে ও নদী তীরবর্তী মাঠের পানি নামলেও ভিতরের এলাকা সমূহের মাঠে পানি আটকে আছে।
নদীর পাড়ের বাসিন্দারা জানায়, সাগরে নিম্নচাপ ও অমাবস্যার জোয়ারের কারণে নদীতে খুব কম সময় ভাটা থাকে। নদী ভরা থাকায় পানি তেমন নামতে না পারায় মাঠে পানি জমে আমনের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে।
আজ রোববার (২৭ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইন্দুরকানী, চাড়াখালি, কালাইয়া, ভবানীপুর, সেউতিবাড়িয়া, গাবগাছিয়া, পত্তাশী, বালিপাড়া, কলারণ, চন্ডিপুর ও চর বলেশ্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিতে মাঠ ও বীজতলা তলিয়ে আছে।
ইন্দুরকানী গ্রামের কৃষক আঃ রশিদ হাওলাদার জানান, পানি আটকে তার আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আবার বীজ বপন করতে হবে।
গাবগাছিয়া গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন বলেন, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে আমার বীজ তলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অনেক ক্ষতি হয়েছে।
পত্তাশী গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী জানান, মাঠে পানি আটকে তার বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পানি না নামলে নতুন করে বীজতলা করাও যাচ্ছে না।
ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমনের বীজতলা তৈরি করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ধান ও বীজ বিতরণ করা হবে।
মিরাজ খান