ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

মহাবিশ্বের মৃত্যু ঘণ্টা কি বেজে গেল? বিজ্ঞানীরা দিলেন ভয়ের ইঙ্গিত!

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ২৭ জুলাই ২০২৫

মহাবিশ্বের মৃত্যু ঘণ্টা কি বেজে গেল? বিজ্ঞানীরা দিলেন ভয়ের ইঙ্গিত!

ছবি: সংগৃহীত।

পৃথিবীর মতোই মহাবিশ্বেরও একদিন শেষ হবে—এটি পুরোনো ধারণা। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সেই শেষ হতে পারে আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক আগে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে এক রহস্যময় শক্তি—ডার্ক এনার্জি।

নতুন এই বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হয়েছে, যদি মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে যায়, তবে এটি একসময় সংকুচিত হয়ে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এবং এই ধ্বংসযাত্রার পেছনে থাকতে পারে ডার্ক এনার্জির আচরণগত পরিবর্তন।

ডার্ক এনার্জির ধারণা প্রথম দেন আইনস্টাইন। তিনি তাঁর আপেক্ষিকতার তত্ত্বে একটি ‘কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট’-এর কথা বলেছিলেন। যদিও পরবর্তীতে তিনি নিজেই সেটি বাদ দেন। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, সেই বাদ দেওয়া ধ্রুবকটিই হতে পারে ডার্ক এনার্জির সবচেয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা।

বর্তমানে মহাবিশ্ব দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে, আর বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এর কারণ ডার্ক এনার্জি। তবে দুটি নতুন গবেষণায় আশঙ্কা করা হয়েছে, ভবিষ্যতে ডার্ক এনার্জি তার আচরণ পরিবর্তন করতে পারে। একবার এই পরিবর্তন শুরু হলে এটি সম্প্রসারণ থামিয়ে মহাবিশ্বকে সংকুচিত করতে পারে।

‘দ্য লাইফস্প্যান অফ দ্য ইউনিভার্স’ গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আজ থেকে প্রায় ১০০০ কোটি বছর পরে সংকোচনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। এবং ২৩৫০ কোটি বছর পর সবকিছু একটি মাত্র বিন্দুতে গিয়ে শেষ হবে। বিজ্ঞানীরা একে বলছেন "Big Crunch" বা "মহাসংকোচন", যা বিগ ব্যাং-এর সম্পূর্ণ বিপরীত।

ডার্ক এনার্জির মূল উপাদান নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। কেউ বলেন, এটি হতে পারে ‘একজায়ন’ নামে একটি কাল্পনিক কণা, যার অস্তিত্ব এখনো প্রমাণিত হয়নি। কেউ আবার মনে করেন, এটি আইনস্টাইনের কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট-ই।

গবেষকরা হিসাব দিয়েছেন—মহাবিশ্বের মাত্র ৫ শতাংশ তৈরি পরিচিত বস্তু দিয়ে। ২৫ শতাংশ ডার্ক ম্যাটার, আর ৭০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে এই অজানা ডার্ক এনার্জি।

তবে চিন্তার কিছু নেই। এই বিপর্যয় ঘটতে সময় লাগবে আরও কয়েক হাজার কোটি বছর। আপাতত আমরা নিরাপদেই আছি।

নুসরাত

×