ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষ নিয়ে যে সুখবর দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৭ জুলাই ২০২৫

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষ নিয়ে যে সুখবর দিলেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত।

যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল টানাপড়েন তুঙ্গে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মুখোমুখি, ঠিক তখনই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হঠাৎ রক্তাক্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। আর এমন এক সময়েই ‘বিশ্বশান্তির দূত’ হয়ে হাজির হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২৪ জুলাই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে হঠাৎ করেই শুরু হয় গোলাগুলি। থাইল্যান্ডের অভিযোগ, কম্বোডিয়ার সেনারা প্রথমে ড্রোন পাঠিয়ে নজরদারি চালিয়েছে এবং পরে আগ্রাসন শুরু করে। পাল্টা কম্বোডিয়া দাবি করে, থাই সেনারা আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করে তাদের ঐতিহাসিক মন্দির এলাকার ভেতরে।

সংঘর্ষ ক্রমেই বাড়ছিল—ঠিক এমন সময় স্কটল্যান্ডে নিজের গল্ফ রিসোর্ট থেকে ট্রাম্প "শান্তির ডাক" ছুড়ে দেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, “আমি দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন এবং আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।”

তিনি আরও জানান, শান্তি প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের সঙ্গে আবার বাণিজ্য আলোচনায় ফিরতে পারে। তবে ট্রাম্প আসলে কীভাবে এই আলোচনায় যুক্ত হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেননা, এর ঠিক আগেই থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতা আমাদের এখন প্রয়োজন নেই।” এমনকি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আগেই মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই হস্তক্ষেপকে শুধু মানবিক বা কূটনৈতিক নয়, বরং কৌশলগতও বলা যায়। সামনে ২০২৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন—আর ট্রাম্প তার বিশ্বনেতৃত্বের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে মরিয়া। কেউ কেউ বলছেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আশাতেই হয়তো এমন উদ্যোগ।

তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—এটা কি আসলেই শান্তির কূটনীতি, না কি নির্বাচনী প্রচারণার ঘুঁটি?
যুদ্ধ কি থামবে, না রাজনৈতিক প্রপাগান্ডার আবরণে আবারও শুরু হবে নতুন উত্তেজনা?

সময়ের অপেক্ষা—ট্রাম্পের এ উদ্যোগ ইতিহাসে জায়গা পাবে, নাকি কয়েকদিন পর হারিয়ে যাবে সংবাদপত্রের পুরনো পাতায়।

নুসরাত

×