
শেয়ারবাজারে দরপতন
টানা নয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থাকার পর রবিবার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখানো বেশিরভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেরও দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সবকটি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে বিক্রির চাপ বাড়ানোর কারণে এই দরপতন হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার সকালে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মাঝে কিছু সময়ের জন্য বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেও বিক্রির চাপ বাড়ায় ফের দরপতন হয়। এতে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩২টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮২টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১০৭টির দাম কমেছে এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ১৯টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৬২টির দাম কমেছে এবং ২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৩টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৪টির দাম বেড়েছে।
বিপরীতে ১৪টির দাম কমেছে এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগেরদিনের তুলনায় ৩৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগেরদিনের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগেরদিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্যানেল হু