
ছবি: সংগৃহীত
চলমান টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে টইটম্বুর হয়ে উঠেছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ। পানি বাড়ছে প্রতি মুহূর্তে। রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত হ্রদের পানির উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ১০৪.১৩ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
তিনি জানান, গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) পানির উচ্চতা ছিল ১০৩.৮১ এমএসএল। তারও আগে, ২২ জুলাই প্রথমবারের মতো হ্রদের পানি ১০০ এমএসএল ছাড়ায়। হ্রদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল হলেও সতর্ক মাত্রা হিসেবে ১০৮ এমএসএল ধরা হয়। সেই মাত্রায় পৌঁছালে ধাপে ধাপে ১৬টি জলকপাট খুলে দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে পানি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে পানির এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ বিদ্যুৎ উৎপাদনে এনেছে নতুন গতি। রোববার পর্যন্ত কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই চালু রয়েছে। উৎপাদন হচ্ছে গড়ে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটিতে ৪৬ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিটে ৪৮ মেগাওয়াট এবং ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটিতে ৪০ মেগাওয়াট করে উৎপাদিত হচ্ছে।
২৪২ মেগাওয়াট সক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্রটি বছরের শুরুর দিকে পানির স্বল্পতায় পুরোপুরি সক্রিয় ছিল না। তবে মে মাসের শেষদিক থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় ২ জুন চারটি ইউনিট সচল করা হয়। এরপর ৯ জুলাই রাতে প্রথমবারের মতো পাঁচটি ইউনিট একযোগে চালু করা হয় এবং সেদিন উৎপাদন হয় ২১২ মেগাওয়াট।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জুলাই উৎপাদন হয় ২১৮ মেগাওয়াট, ২০ জুলাই ২২০ মেগাওয়াট এবং ২২ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২১ মেগাওয়াট। যা চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
এদিকে হ্রদের পানি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
ফারুক