ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

গাজার জন্য আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক উদ্যোগ: বাইতুল যাকাত ও সাদাকাহ’র একাদশ ত্রাণ কাফেলা রওনা দিলো

জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান

প্রকাশিত: ০০:৪২, ২৮ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০০:৪৩, ২৮ জুলাই ২০২৫

গাজার জন্য আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক উদ্যোগ: বাইতুল যাকাত ও সাদাকাহ’র একাদশ ত্রাণ কাফেলা রওনা দিলো

ছবিঃ সংগৃহীত

গাজার রক্তক্ষয়ী মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে আবারও এগিয়ে এলো আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ফাউন্ডেশন বাইতুল যাকাত ও সাদাকাহ।

সম্মানিত ইমামুল আকবর, আজহারের প্রধান ইমাম ও ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ আত-তাইয়েব (হাফি.)-এর নির্দেশে এই ফাউন্ডেশন গাজায় পাঠাচ্ছে একাদশ ত্রাণ কাফেলা, যা বহন করছে হাজার হাজার টন খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ, শিশুদের দুধ, কম্বল এবং সম্পূর্ণ সজ্জিত এক হাজার তাঁবু।

এই উদ্যোগ আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ঐতিহাসিক মানবিক ভূমিকার ধারাবাহিকতা, যা বরাবরই উম্মাহর কষ্টে সাড়া দিয়ে এসেছে। গাজার ধ্বংসস্তূপে যখন নারী-শিশুরা খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের জন্য আকুল, তখন এই কাফেলা তাদের জন্য একটুকরো আশার আলো। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ওষুধ, স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী, ডায়াপার, শিশুখাদ্য, পরিষ্কার পানীয় জলসহ নানা মৌলিক উপকরণ রাখা হয়েছে এই কাফেলায়।

ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক প্রচারণা “গাজাকে সাহায্য করুন” ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের মানুষকে একত্রিত করেছে। সম্মানিত ইমামুল আকবরের আহ্বান—“তোমাদের সম্পদ দিয়ে জিহাদ করো, ফিলিস্তিনকে সাহায্য করো”—আজ বিশ্বব্যাপী হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। মিশরের ভেতরে-বাইরে অসংখ্য মানুষ তাদের দান দিয়ে এই প্রচারণার অংশ হয়েছেন, আর সেই দানের ফসলই পৌঁছে যাচ্ছে গাজার রক্তাক্ত মানুষের হাতে।

যারা চান, তারাও এই মহান উদ্যোগের অংশ হতে পারেন। বাইতুল যাকাত ও সাদাকাহ, আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্বস্ত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরাসরি সহায়তা পাঠানো সম্ভব। গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখে এক চুমুক হাসি ফোটাতে, আহত মায়ের হাতে ওষুধ পৌঁছে দিতে, বিধ্বস্ত পরিবারকে একটি তাঁবুর ছায়া দিতে—আপনার সামান্য অবদান হতে পারে সবচেয়ে বড় দান।

আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মানবিক মিশন শুধু ত্রাণ নয়, এটি উম্মাহর জন্য দায়িত্ববোধের প্রতীক, ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্বজনমতের দৃঢ় ঘোষণা। যখন গাজার আকাশে আগ্রাসনের ধোঁয়া, তখন আজহার থেকে ছড়িয়ে পড়ছে দয়ার আলো।

লেখক ও কলামিস্ট:

জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান, শিক্ষার্থী, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো, মিশর

ইমরান

×