ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২

পড়াশোনা-চাকরি একসঙ্গে? জেনে নিন ভারসাম্য রক্ষার ৮টি সহজ উপায়

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ২৮ জুলাই ২০২৫

পড়াশোনা-চাকরি একসঙ্গে? জেনে নিন ভারসাম্য রক্ষার ৮টি সহজ উপায়

ছবি: প্রতীকী

একসঙ্গে কাজ এবং পড়াশোনা সামলানো অনেক সময়ই দড়ির ওপর হাঁটার মতো মনে হয়—বিশেষ করে যখন ক্লাসের সময়সূচি, পরীক্ষার প্রস্তুতি আর চাকরির শিফট একসঙ্গে এসে পড়ে।

তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সঠিক পরিকল্পনা ও সচেতনতার মাধ্যমে আপনি ক্যারিয়ারও এগিয়ে নিতে পারবেন এবং পড়াশোনাতেও ভালো ফল করতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক, এমন ৮টি কার্যকরী পরামর্শ—

১. নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরি করুন

একটা গোছানো সময়সূচি তৈরি করুন, যেখানে প্রতিদিনের ক্লাস, কাজের সময় এবং পড়ার সময় আলাদা করে উল্লেখ থাকবে। Google Calendar বা ডায়েরি ব্যবহার করে সময় ভাগ করে নিন এবং প্রয়োজনে তা হালনাগাদ করুন।

২. ছোট ও পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

‘বায়োলজি পড়ব’ না বলে বলুন, ‘৪৫ মিনিটে অধ্যায় ৩-এর নোট শেষ করব’। এমন লক্ষ্য রাখুন যা স্পষ্ট, পরিমাপযোগ্য, বাস্তবসম্মত, প্রাসঙ্গিক ও সময়বদ্ধ—মানে, স্মার্ট নিয়ম অনুসরণ করুন।

৩. অতিরিক্ত দায়িত্বকে না বলুন

সব আমন্ত্রণ বা অতিরিক্ত কাজ গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। যদি তা আপনার মূল দায়িত্বে প্রভাব ফেলে, তাহলে বিনয়ের সঙ্গে না বলতে শিখুন। পড়ার সময় আগে সুরক্ষিত করুন।

৪. ছোট বিরতিকে কাজে লাগান

ঘণ্টাখানেক পড়ার পর ৫ মিনিটের বিরতি নিন—হালকা হাঁটা, স্ট্রেচিং বা গভীর শ্বাস আপনাকে নতুন উদ্যমে ফিরিয়ে আনবে। এর ফলে ক্লান্তিও কমবে, মনোযোগ বাড়বে।

৫. বেশি নয়, বুদ্ধিমানের মতো কাজ করুন

শুধু সময় দিলেই হবে না, দিতে হবে ফলপ্রসূভাবে। নিজের মতো করে জোরে জোরে রিভিশন দিন, বন্ধুকে শেখান কিংবা আগের প্রশ্নপত্রে অনুশীলন করুন। কাজে ‘পোমোডোরো’ পদ্ধতি ব্যবহার করুন—২৫ মিনিট কাজ, ৫ মিনিট বিরতি।

৬. ফাঁকা সময় কাজে লাগান

বাসের অপেক্ষায় বা ক্লাস শুরুর আগে ফাঁকা সময়টুকু ফ্ল্যাশকার্ড দেখা, গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল পড়া বা অ্যাসাইনমেন্টের খসড়া তৈরিতে ব্যবহার করুন। এসব ছোট ছোট ‘মাইক্রো-সেশন’ সন্ধ্যা বা রাতের কাজের চাপ কমায়।

৭. শিক্ষকদের ও অফিসের বসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন

যদি সময় নিয়ে বিপত্তি হয়, আগেভাগেই অফিসের বস বা শিক্ষকদের জানিয়ে দিন। বেশিরভাগ সময় তারা সময়সূচি বা ডেডলাইন সামঞ্জস্য করতে রাজি থাকেন—যদি আপনি বিষয়টি দ্রুত ও দায়িত্বশীলভাবে জানান।

৮. শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন

ভালো ঘুম, সুষম খাবার ও নিয়মিত শরীরচর্চা না থাকলে কোনো কিছুতেই আপনি ভালো করতে পারবেন না। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করাও জরুরি—মন ভালো রাখে এমন কিছু করুন, সময় বের করে নিজেকে সময় দিন।

কাজ আর পড়াশোনা একসঙ্গে চালিয়ে নেওয়া কঠিন হতে পারে, তবে অসম্ভব নয়। কৌশল, পরিকল্পনা আর আত্ম-শৃঙ্খলা থাকলে আপনি নিশ্চয়ই সাফল্যের পথেই থাকবেন।

 

সূত্র: https://share.google/Jz0tOxGf41rqjWQLS

রাকিব

×