ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

সিংগাইরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনের ফাটল ধামাচাপা দিতে চলছে পুনঃসংস্কার কাজ!

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:৫৪, ২৭ জুলাই ২০২৫

সিংগাইরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনের ফাটল ধামাচাপা দিতে চলছে পুনঃসংস্কার কাজ!

ছবিঃ সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সদ্য নির্মিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনের ফাটল নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনের। ভবনটির ফাটল ধামাচাপা দিতে চলছে পুনঃসংস্কারের কাজ—বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সাব-রেজিস্টার মো. মামুন বাবর মিরোজ।

রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা দেখতে পান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রাজমিস্ত্রি দিয়ে ভবনের বিভিন্ন ফাটল স্থানে বালু-সিমেন্ট দিয়ে পুনঃনির্মাণের কাজ চলছে। ভবনের বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমান হচ্ছে জোড়াতালি।

সাব-রেজিস্টার মামুন বাবর জানান, বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে অফিসিয়াল কাজ বিঘ্নিত হয়। এছাড়া ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেওয়ায় স্টাফদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বৈদ্যুতিক লাইনেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে। এতে ওই লাইন পুনঃনির্মাণে তাকে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “বৃষ্টি এলে ছাদের ফাটল দিয়ে পানি না পড়লেই বোঝা যাবে সংস্কার কাজটি ঠিকমতো হয়েছে।”

ভবনটির নির্মাণ কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা পিডব্লিউডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, “গত ১৯ জুলাই থেকে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে, আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে শেষ হলে অফিস থেকে গিয়ে দেখে আসব।”

অভিযুক্ত জয়া কনস্ট্রাকশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিন সরকার বলেন, “কেমিক্যাল দিয়ে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। কিউরিং করে শক্ত হলে পরে রং দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে জয়া কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. জুবায়ের রহমান বলেন, “ভবনটির যেখানে যেখানে ত্রুটি ধরা পড়েছে, আমরা সেখানে সংস্কার কাজ করছি। শিগগিরই কাজ শেষ করতে পারব। যেভাবে করা হচ্ছে, আশা করছি আর কোনো সমস্যা হবে না। কাটা স্থানগুলোয় কাজ শেষে রং করে দেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই নতুন ভবনে গত ২ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। পিডব্লিউডি’র তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশন ৩৩ শতাংশ জমির ওপর দুই তলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবন বুঝিয়ে দেওয়ার পাঁচ মাস না যেতেই নির্মাণ ত্রুটি ধরা পড়ে। দেয়ালের একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দেয়, আর বৃষ্টিতে ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ায় নির্মাণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইমরান

×