
মাদারীপুরের কালকিনি থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিতে ঘুষ দাবি করার অভিযোগে থানার কম্পিউটার অপারেটর মো. সোহেল খানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। রবিবার রাত ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কালকিনি থানা পুলিশ।
জানা যায়, মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের এক যুবক পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করেন। আবেদনকারী যুবকের ভোটার আইডিতে ঠিকানা ডাসার থানা উল্লেখ থাকলেও, পাসপোর্টে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে কালকিনি থানার আওতায়। এ কারণে একাধিকবার পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ডাসার থানায় গেলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাননি তিনি।
পরে ওই যুবক কালকিনি থানায় যোগাযোগ করেন এবং কম্পিউটার অপারেটর মো. সোহেল খানের সঙ্গে কথা বলেন। সোহেল তাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সরবরাহের ‘গ্যারান্টি’ দেন, তবে বিনিময়ে দাবি করেন ২৫ হাজার টাকা। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, টাকা না দিলে সার্টিফিকেট মিলবে না এবং কেউ তাকে সহযোগিতা করবে না।
শেষ পর্যন্ত, ৫ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার পর পহেলা জুলাই অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেওয়ার আশ্বাস দেন সোহেল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, গত ২০ জুলাই পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে ভুক্তভোগী সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে জেলা পুলিশের নজরে আসে বিষয়টি। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগীর জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সোহেল খানকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।
এছাড়াও, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে বিষয়টির ওপর জোরালো তদন্ত চলছে। কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে একটি তালিকা প্রস্তুত করছে ডিআইজির দপ্তর। ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
নুসরাত