
ছবি: জনকণ্ঠ
প্রতিদিন ৬/৭ ঘন্টা লোড শেডিং নিয়ে জীবন যাত্রা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। লোড শেডিং এর কারনে বাসা-বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ ব্যবসা-বাণিজ্যেসহ সর্বত্র হাপিত্তেস। লো ভোল্টেজের কারণে অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি পাওয়ার স্টেশনের ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিটটি প্রায় ১১ দিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। একারণে লোডশেডিং আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভ্রাট আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। জানা যায়, ট্রান্সফরমার পুড়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে কুমারগাও বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। কবে নাগাদ এটি সচল হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, “সিলেট বিভাগে দৈনিক চাহিদা প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট হলেও বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০০ মেগাওয়াট।” এদিকে, শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় বিদ্যুৎচাহিদা কম ছিল, তাই ঘাটতি ততটা চোখে পড়েনি। কিন্তু রবিবার থেকে লোড শেডিং এর মাত্রা আরো তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিউবো সিলেট বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন জানান, ঢাকা থেকে হঠাৎ করে লোড ফিকুয়েন্সি ডাউনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর উপর নিজেদের উৎপাদন বন্ধ থাকায় লোডশেডিং এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল না হওয়া পর্যন্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলাবাসীকে দৈনিক একাধিকবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) জানায়, ট্রান্সফরমার পুড়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। যেহেতু যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আনতে হয়, তাই কবে নাগাদ এটি সচল হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফলে সিলেট এখন পুরোপুরি জাতীয় গ্রিডের ওপর নির্ভরশীল, যেটি আগেই চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। নাগরিকরা বলছেন, দিনে কাজ করা যাচ্ছে না, রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। এমন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থা চলতে থাকলে জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। বিশেষ করে দুপুর ও সন্ধ্যা বেলা লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।
ছামিয়া