
ছবি: সংগৃহীত।
চরম খাদ্য সংকটে ধুঁকতে থাকা গাজার তেল আল-হাওয়া এলাকার এক ফিলিস্তিনি নারী বলেছেন, এখন তার জীবনের একমাত্র ইচ্ছা হলো একটি রুটি খেতে পারা এবং সন্তানদের মুখে অন্তত এক টুকরো খাবার তুলে দিতে পারা।
৩০ বছর বয়সী সুআদ ইশতাইউই ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “আমার জীবনের একমাত্র চাওয়া এখন একটা রুটি খেতে পারা, আর আমার সন্তানদেরও একটু রুটি খাওয়াতে পারা।”
তিনি আরও জানান, তাঁর স্বামী প্রতিদিন সাহায্য সংগ্রহের আশায় বিভিন্ন বিতরণ কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান, কিন্তু খালি হাতে ফিরে আসেন।
গাজা শহরেরই আরেক বাসিন্দা, ৪৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ আল-দাদুহ বলেন, “আমরা আশা করছি আজ কিছু সাহায্য আসবে, কারণ ক্ষুধা আমাদের ধীরে ধীরে মেরে ফেলছে। মিশর বলেছে তারা সহায়তা পাঠাবে, কিন্তু আমরা জানি না ইসরায়েল সেটি প্রবেশ করতে দেবে কি না।”
গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে বর্ণনা করেছেন আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো। খাদ্যের অভাবে প্রতিদিনই দুর্বল হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। সহায়তা প্রবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই বাড়ছে অনাহার ও মৃত্যু। আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে, ইসরায়েল কিছু এলাকায় “কৌশলগত বিরতি” ঘোষণা করলেও তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
মিরাজ খান