
ছবি: সংগৃহীত।
খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি চরম মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন এবং অঞ্চলটির পুরো জনসংখ্যা এখন দুর্ভিক্ষের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইসরায়েল চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে টানা ১১ সপ্তাহ গাজায় সম্পূর্ণ সহায়তা অবরোধ চালু রাখে। এই অবরোধের পেছনে যুক্তি হিসেবে ইসরায়েল দাবি করে, তারা হামাসকে জিম্মিদের মুক্তি দিতে চাপ দিতেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে মে মাসের শেষদিকে সামান্য কিছু খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও, তা দিয়ে চরম খাদ্যাভাব ও সংকটের কোনো উল্লেখযোগ্য উপশম হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সীমিত সহায়তা পর্যাপ্ত নয়, এবং হাজার হাজার মানুষ এখনও অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন ও পর্যবেক্ষকরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, তারা খাদ্যকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এবং পুরো গাজার বেসামরিক জনগণকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দিচ্ছে এই সহায়তা অবরোধের মাধ্যমে।
এই অবরোধের ফলে গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, পুষ্টিহীনতা এবং চিকিৎসাসেবার অভাব দেখা দিয়েছে, যা শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দ্রুত ও অবাধ মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
মিরাজ খান