ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

সেতু নির্মাণ কাজে ধীরগতি, দেড় বছরে সেতুর কাজ ৬০ শতাংশ

আল-কারিয়া চৌধুরী-কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ২৭ জুলাই ২০২৫

সেতু নির্মাণ কাজে ধীরগতি, দেড় বছরে সেতুর কাজ ৬০ শতাংশ

ছবি: জনকণ্ঠ

কর্তৃপক্ষের দেওয়া নির্ধারিত সময় শেষ হলেও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বড়মানিক ছোট যমুনা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর কাজ এখনো শেষ হয়নি। সেতুর কাজে ধীরগতি। চলতি বছরের গত (৮ জুলাই) সেতুর নির্মাণকাজের নির্ধারিত দেড় বছর  মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবুও এখনো এই সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তির শিকার স্থানীয় এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, নির্মানাধীণ সেতুর পাশেই স্থানীয় এলাকাবাসী ও রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোটখাটো যান চলাচল করতে পারে একারনে একটি বিকল্প সেতু হিসেবে দুই লেনের একটি কাঁঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে কাঁঠের সেই সেতুটিও বেশ পুরনো হওয়ায় সেটি নিয়েও দুশ্চিন্তা বেড়েছে। বর্ষায় নদী ভরে গেলে নড়বড়ে কাঠের সেতু ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

বড় মানিক এলাকার অটো রিকশাচালক আব্দুল কুদ্দুস ও পথচারী রহিম মন্ডল বলেন,  যত দিন আগে কাজ শুরু হয়েছে এত দিনে এরকম আরেকটা সেতু বানানো যেত। নদীত কাঁঠ-বাঁশের ঢোকা দিয়ে কাঠের ব্রিজ বানাচ্ছে। সেই কাঠ-বাঁশ পানিত ভিজে নড়বড় করোছে। যদি নদীত পানির চাপ আসে তাহলে কাঁঠের ব্রিরিজ থাকবে না। তখন হামাকে চলাচল পুরাপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

পাঁচবিবির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে  জানা গেছে, প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেজ কর্মসূচির আওতায় পাঁচবিবি উপজেলার বড় মানিক এলাকায় ছোট যমুনা নদীর ওপর  ৯০ দশমিক ৬ মিটার দীর্ঘ গার্ডার সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়।  ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৮ জুলাই কাজের মেয়াদ ছিল।  এ কাজের চুক্তি মুল্যে  ৮ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৭৭২ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড ও এমডি সোহেল জেভি। তবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল  জেলা আওয়ামী লীগের নেতা প্রভাষক মাসুদ রেজা সেতুর নির্মাণকাজ করছেন।  ৫ আগস্টের পর প্রভাষক মাসুদ রেজা সাইডে আসছেন না। তবে তাঁর লোকজন সেতুর নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন।  

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইডের ব্যবস্থাপক সুমন খাঁন বলেন, সেতুর কাজ চলমান রয়েছে। বিভিন্ন কারণে নির্ধারিত মেয়াদে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা যায়নি। কাজের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।  উপজেলাজেলা প্রকৌশলী মাঝখানের গার্ডার নির্মাণের  কাজের বন্ধ রাখতে বলেছেন। একারণে গার্ডার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ে সেতুর ৬০ ভাগ কাজ হয়েছে। আগামী ছয় মাসের আগেই  সেতুর কাজ শেষ হবে।

পাঁচবিবি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, ছোট যমুনা নদীর বড় মানিক সেতুর ১২ টি গার্ডারের মধ্যে চারটি গার্ডার হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে নদীর মাঝখানের চারটা গার্ডার আপাত না করতে বলা হয়েছে। কাজের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।

মুমু ২

×