
ছবি: সংগৃহীত
চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ না হলে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ‘জুলাই ২৪ শহীদ’ পরিবারগুলোর সদস্যরা। একইসাথে সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ এবং ‘ন্যাশনাল ইউথ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ’-এর যৌথ আয়োজনে স্মরণসভায় আমন্ত্রিত থাকলেও প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত হননি। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, “যদি তারা আসবেন না, আগে বলে দিক। আমাদের সময় নাই। সমস্ত উপদেষ্টা মণ্ডলীকে ধিক্কার জানাই।”
শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, “একটা অভ্যুত্থানের পর একটি বিপ্লবী সরকারের গঠনের কথা ছিল। কিন্তু এক বছর পার হলেও হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান নয়। আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই যদি সরকার জুলাই সনদ প্রকাশে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা আবার রাজপথে নামবো। যা সরকারের জন্য হবে লজ্জার।”
স্মরণসভায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শহীদ পরিবারের সঙ্গে না বসে এবং সনদ না দেয়, তবে তাদেরকে চেয়ার থেকে নামতে বাধ্য করা হবে।”
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, “শহীদ পরিবারগুলো কারো কাছে ভিক্ষা চায় না। তারা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চায়। প্রতিটি পরিবারকে উপযুক্ত বিবেচনায় সম্মানের চাকরি ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটাকে কোটা নয়, বরং সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখতে হবে।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর এ সময় বলেন, “দুনিয়ার কোনো কিছুর বিনিময়ে শহীদ পরিবারের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। তারা তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হারিয়েছেন। পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের বিনিময়েও শহীদদের আত্মত্যাগের মূল্য শোধ করা যাবে না।”
এই স্মরণসভা থেকে আবারও দৃঢ় বার্তা দেওয়া হয়—জুলাই সনদ প্রকাশে ব্যর্থ হলে, দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
আসিফ