
ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে হলে আবেদনকারীদের একটি পরীক্ষা দিতে হয়, যাকে বলা হয় Naturalization Test বা প্রাকৃতিকরণ পরীক্ষা। এটি গ্রিন কার্ডধারীদের জন্য নয়, বরং যারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে চান, তাদের জন্য প্রযোজ্য।
বর্তমান পরীক্ষাটি খুব সহজ এবং মুখস্থ করে পাশ করা সম্ভব—এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার (USCIS) নতুন পরিচালক। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আবারও ২০২০ সালের সংস্করণ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে, যা তুলনামূলকভাবে কঠিন ছিল।
নাগরিকত্ব পরীক্ষায় কী থাকে?
প্রথমে আবেদনকারীকে Form N-400 ফর্ম জমা দিতে হয়। এরপর তার পটভূমি যাচাই (ব্যাকগ্রাউন্ড চেক), বাসস্থান সংক্রান্ত শর্তপূরণ ও অন্যান্য যোগ্যতা নিশ্চিত করার পর সাক্ষাৎকারে হাজির হতে হয়। সেখানে তাকে দুটি পরীক্ষা দিতে হয়:
ইংরেজি ভাষা পরীক্ষা
নাগরিক শিক্ষা (Civic) পরীক্ষা
বর্তমান নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের একটি তালিকা থাকে, যেখানে অফিসার যেকোনো ১০টি প্রশ্ন করেন এবং আবেদনকারীকে অন্তত ৬টি সঠিক উত্তর দিতে হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর সংস্করণ
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে USCIS খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য একটি কঠিন সংস্করণ চালু করেছিল:
প্রশ্ন ছিল ১২৮টি
এর মধ্যে ২০টি প্রশ্ন করা হতো
কমপক্ষে ১২টি সঠিক উত্তর দিতে হতো
বর্তমানে এই ধরনের আরও কঠিন সংস্করণ চালু করার কথা ভাবছে সংস্থা।
USCIS পরিচালক বলেন, “বর্তমান পরীক্ষা আইনের প্রকৃত চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।” ২০০৮ সালের আগে পরীক্ষাটি এলোমেলোভাবে নেওয়া হতো, পরে জর্জ বুশ প্রশাসন “১০টির মধ্যে ৬টি সঠিক” এই নতুন কাঠামো চালু করে।
H-1B ভিসায় আসছে বড় পরিবর্তন
এই নাগরিকত্ব পরীক্ষার পটভূমিতে আরও একটি বড় পরিবর্তন আসছে—H-1B ভিসা কর্মসূচিতে বিপুল সংস্কার প্রস্তাব করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ।
H-1B এখন আর এন্ট্রি-লেভেল চাকরির জন্য প্রযোজ্য নয়
এটি শুধু উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন (high-skilled) চাকরির জন্যই বরাদ্দ থাকবে
প্রস্তাবিত নিয়ম অনুযায়ী, উচ্চ বেতনের চাকরিগুলোতেই বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া যাবে
এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের স্নাতকদের এন্ট্রি-লেভেল চাকরি হারানোর সম্ভাবনা কমবে
পাশাপাশি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম বেতনে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে না
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
নোভা