ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

মিয়ানমার-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নাটকীয় মোড়: প্রশংসার চিঠি বদলে দিলো নিয়তি!

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ২৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৪:১৫, ২৫ জুলাই ২০২৫

মিয়ানমার-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নাটকীয় মোড়: প্রশংসার চিঠি বদলে দিলো নিয়তি!

ছবি: সংগৃহীত।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের এক নোটিশ অনুযায়ী, মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি প্রশংসাসূচক চিঠি পাঠানোর পর, যুক্তরাষ্ট্র জান্তা-ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি ও সামরিক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।

জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ২০২১ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন, যার ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, ৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত এবং দেশের অর্ধেক জনগণ দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

দুই সপ্তাহ আগে মিন অং হ্লাইং ট্রাম্পকে একটি চিঠি পাঠান, যেখানে তিনি ট্রাম্পের শাসনামলের প্রশংসা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র-অনুদানপ্রাপ্ত গণমাধ্যমগুলো বন্ধ করার জন্যও ধন্যবাদ জানান। চিঠিটি ছিল ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্ক হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পাঠানো। ট্রেজারি বিভাগের বৃহস্পতিবারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, KT Services and Logistics, Myanmar Chemical and Machinery Company, এবং Suntac Technologies—এই তিন প্রতিষ্ঠান ও তাদের ব্যবস্থাপকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

KT Services and Logistics ও এর প্রধান নির্বাহী Jonathan Myo Kyaw Thaung-কে ২০২২ সালে ইয়াঙ্গুনের একটি সামরিক বন্দর বার্ষিক ৩০ লাখ ডলারে লিজ নেওয়ার জন্য "জান্তার দোসর" হিসেবে অভিহিত করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
Myanmar Chemical and Machinery Company ও এর মালিক Aung Hlaing Oo, এবং Suntac Technologies-এর মালিক Sit Taing Aung পরবর্তীকালে অস্ত্র (ট্যাংক ও মর্টারসহ) উৎপাদনের কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসেন।

আরও এক মিয়ানমার নাগরিক Tin Latt Min—যাকে যুক্তরাষ্ট্র পূর্বে "জান্তার ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন কোম্পানির মালিক" হিসেবে চিহ্নিত করেছিল—তাকেও নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি, এবং হোয়াইট হাউসও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

ট্রাম্প চলতি মাসের শুরুতে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংকে একটি চিঠি পাঠান—যা অভ্যুত্থানের পর জান্তা শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রকাশ্য স্বীকৃতি বলে মনে করা হচ্ছে। ওই চিঠিতে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, যদি কোনো বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তবে মিয়ানমারকে ৪০ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়তে হবে।

এর জবাবে মিন অং হ্লাইং একাধিক পাতার একটি চিঠিতে ট্রাম্পের বার্তার জন্য “গভীর কৃতজ্ঞতা” প্রকাশ করেন এবং তাঁর “শক্তিশালী নেতৃত্বের” প্রশংসা করেন।


সূত্র: এনডিটিভি 

মিরাজ খান

×