ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

হঠাৎ করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা ম্যাক্রোঁর, সৌদি আরবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ২৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৪:৫৯, ২৫ জুলাই ২০২৫

হঠাৎ করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা ম্যাক্রোঁর, সৌদি আরবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন সেপ্টেম্বর অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তাঁর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব।

বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ম্যাক্রোঁ লেখেন, “মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তির প্রতি আমাদের ঐতিহাসিক অঙ্গীকার অনুযায়ী, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।”

এ নিয়ে শুক্রবার সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “সৌদি আরব এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায়, যা ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের বৈশ্বিক ঐকমত্যকে পুনরায় নিশ্চিত করে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আন্তর্জাতিক প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন ও আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখতে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত প্রচেষ্টা জরুরি।”

সৌদি আরব সেই দেশগুলোকেও আহ্বান জানিয়েছে, যারা এখনো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, তারা যেন এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

এএফপি’র সর্বশেষ হিসাবে, এখন পর্যন্ত ১৪২টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন জানিয়েছে।

এই ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে হাজারো মানুষকে হত্যা ও লক্ষাধিক মানুষকে গৃহচ্যুত করেছে। ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মহলে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষুধার্ত করা।

ইসরায়েল-সমর্থিত একটি ত্রাণ বিতরণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, যারা খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ছয় সপ্তাহে ইসরায়েলের তৈরি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে অন্তত ৮৭৫ জন নিহত হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধ ও বন্দি বিনিময়ের লক্ষ্যে চলমান শান্তি আলোচনা বৃহস্পতিবার রাতে ভেঙে পড়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রতিনিধিদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, “আমরা এখন বিকল্প পথ খুঁজছি যাতে করে জিম্মিদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা এবং গাজাবাসীর জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা যায়।”

হামাস বলেছে, উইটকফের মন্তব্যে তারা বিস্মিত, তবে তারা আলোচনায় ফিরে আসতে প্রস্তুত।

আবির

×