ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

ওয়েস্ট আর্কটিকা, সাবোরগা, পুলভিয়া, লোডোনিয়ার মতো কাল্পনিক দেশের রাষ্ট্রদূত দাবি করে ভুয়া দূতাবাস চালানোর অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ২৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৬:৪২, ২৬ জুলাই ২০২৫

ওয়েস্ট আর্কটিকা, সাবোরগা, পুলভিয়া, লোডোনিয়ার মতো কাল্পনিক দেশের রাষ্ট্রদূত দাবি করে ভুয়া দূতাবাস চালানোর অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পুলিশ রাজধানী নয়া দিল্লির উপকণ্ঠে ভাড়া বাড়ি থেকে ভুয়া দূতাবাস পরিচালনার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত হার্শ বর্ধন জৈন (৪৭) উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে একটি ভাড়া বাড়ি নিয়ে তথাকথিত “ওয়েস্ট আর্কটিকা দূতাবাস” পরিচালনা করছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। গাজিয়াবাদটি রাজধানী দিল্লির সীমানা ঘেঁষা এলাকা।

পুলিশ জানিয়েছে, জৈন নিজেকে “ওয়েস্ট আর্কটিকা, সাবোরগা, পুলভিয়া, লোডোনিয়া”র মতো কাল্পনিক দেশের রাষ্ট্রদূত দাবি করতেন।

তিনি ভুয়া কূটনৈতিক নম্বরপ্লেটযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতেন এবং ভারতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের এডিট করা ছবি প্রচার করতেন, যাতে নিজের পরিচয় বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, “তার মূল কর্মকাণ্ড ছিল বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার নামে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা এবং বিভিন্ন শেল কোম্পানির মাধ্যমে হাওলা পদ্ধতিতে অর্থ স্থানান্তর করা।”

তাকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, জৈনের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ৫৩,৫০০ মার্কিন ডলার নগদ অর্থ, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিলযুক্ত জাল পাসপোর্ট এবং ভুয়া নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, জৈন কিংবা তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, পুলিশ যে ‘ওয়েস্ট আর্কটিকা’র কথা বলেছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যারা পশ্চিম আন্টার্কটিকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও গবেষণা নিয়ে কাজ করে।

প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “জৈন অনুদান দেওয়ার পর তাকে ‘ভারতের জন্য সম্মানসূচক কনসাল’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তবে তাকে কখনোই রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা বা কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি।”

আবির

×