
ছবি: জনকণ্ঠ
সময়ের গহীনে নগর ও নিসর্গের নীরব সংলাপ
মেঘের গহীনে জমে আছে আকাশের নীরব অভিমান।
ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে গেঁথে আছে সময়ের গোপন স্রোতধারা।
দিগন্ত ছুঁয়ে ক্লান্ত দিনের অবশিষ্ট আলোটুকু
চুয়ে পড়ে যেন এক গভীর বিষণ্নতায়।
এ এক অনন্তের জলে ধীরে ধীরে গলে যাওয়া
সময়ের বরফে বাঁধানো চাকা,
যার গতি বোঝে কেবল নিঃশব্দ অতীত।
দূর নগরীর আলো-ছায়ায় আঁকা থাকে
মহাকালের এক কাব্যিক নীরবতা।
শূন্যতার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা
ইট-পাথরের শহর যেন সভ্যতার অবিরাম প্রহরী।
সুউচ্চ মিনারচূড়ায় জমে থাকা শেষ আলোর কণা
বয়ে আনে অস্তগামী সূর্যের বিদায়ী সংগীত।
নীরবে সেই প্রহর গুনছে আসন্ন আজানের ধ্বনি।
নগরের সান্ধ্য কোলাহল তখন রজনীর আগমনী বার্তা।
প্রকৃতি নিঃশব্দে অপেক্ষা করে
আরও একটি জোৎস্নামাখা রাতের
শীতল আলিঙ্গনের।
আর চলতে থাকে কেবল
একটি অনিশ্চিত গন্তব্যের পানে ভেসে চলা খেয়া,
যার প্রতিটি বৈঠার আঁচড়ে লেখা হয়
ঘামে ভেজা জীবনের উপাখ্যান।
মুমু ২