
ছবিঃ সংগৃহীত
পরীক্ষার আগে হাজার বার পড়েও মনে রাখতে পারছেন না? একটু পড়লেই ভুলে যাচ্ছেন? এমন পরিস্থিতি অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গেই ঘটে। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট কৌশল অবলম্বন করলে পড়া মনে রাখা যেমন সহজ হয়, তেমনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সেই জ্ঞান মস্তিষ্কে টিকে থাকে। আজ জানুন পড়া মনে রাখার ৫টি কার্যকরী কৌশল—
১. অ্যাকটিভ রিকল পদ্ধতি ব্যবহার করুন
শুধু পড়লেই হবে না, বারবার নিজের কাছেই প্রশ্ন করে উত্তর দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। একে বলে ‘অ্যাকটিভ রিকল’। এতে স্মৃতিশক্তি জোরদার হয় এবং আপনি কতটা শিখেছেন তা যাচাই করাও সহজ হয়।
২. স্পেসড রিপিটিশন মেথড
একবার পড়ে তা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই নির্দিষ্ট ব্যবধানে বারবার পুনরাবৃত্তি করুন। প্রথম দিনে পড়ার পর পরদিন, তার দুই দিন পরে, এরপর এক সপ্তাহ পরে এমনভাবে ধাপে ধাপে রিভিশন করুন।
৩. মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করুন
পড়া বিষয়গুলোকে চার্ট, চিত্র বা ডায়াগ্রামের মাধ্যমে উপস্থাপন করলে মস্তিষ্ক তা সহজে ধরে রাখতে পারে। মাইন্ড ম্যাপ আপনার মনে তথ্য ধরে রাখার জন্য ভিজ্যুয়াল স্টিমুলেশন তৈরি করে।
৪. টিচিং টেকনিক প্রয়োগ করুন
আপনি যা পড়েছেন তা অন্য কাউকে শেখানোর চেষ্টা করুন। এতে নিজেই আরও পরিষ্কারভাবে বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন এবং মস্তিষ্কে তা গভীরভাবে স্থায়ী হবে।
৫. পর্যাপ্ত ঘুম ও পানির গুরুত্ব
মনে রাখার জন্য শুধু পড়াই যথেষ্ট নয়, ঘুম ও হাইড্রেশন সমান গুরুত্বপূর্ণ। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম এবং দিনে পর্যাপ্ত পানি পান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
শেষ কথা:
পড়াশোনাকে যদি শুধুই মুখস্তের বিষয় না ভেবে একটি আনন্দদায়ক চর্চা হিসেবে নেওয়া যায়, তাহলে মনে রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়। উপরের কৌশলগুলো প্রতিদিনের রুটিনে যুক্ত করে দেখতে পারেন— পরিবর্তন আপনি নিজেই টের পাবেন।
আলীম