
মম অস্পৃশ্য
সাহিনা মিতা
এই সন্ধ্যায় ঘন হয়ে আসা আলোর মতন
বটতলা ঘিরে আমারও ছিলো কিছু ঘোর
আষাঢ়ের আঁকিবুকি, কৃত্তিমে অকৃত্তিমের
মিল মিলাতে মিলাতে ক্লান্ত হওয়ার আগেই
অন্ধকারের ঘনত্ব বেড়ে যায়! ঢুলির তাল,
আবিরের ধনু ছাপিয়ে হৈ হৈ রবে আপনি
আমাকে অন্ধকার অতলে অদৃশ্য করতে ব্যাস্ত!
যদিও প্রখর দিন, মেলা চলছে, সূর্যও ডুবেনি!
আহা আততায়ী সুবর্ণ সুন্দর! শুদ্ধতার রংটিও
কখনো সখনো মিহি কালো হয়। দেখো না?
পূর্ণরূপ নিয়ে কোথাও কোথাও ঝরে যায় কত
পরিণত পাঁপড়ি, জমেযায় কত কাকচক্ষু জল!
সর্বনাশ হয়ে গেছে
সৌম্য সালেক
যেদিন আগুন ছড়ালো শিশুদের দেহে
উড়ে গেল পাখিরা সব
পুষ্পবনের সুঘ্রাণ উবে গেল
তছনছ হয়ে গেছে সুখের সংসার
সর্বনাশ হয়ে গেছে
আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে!
সেদিন শিশুদের শরীর শুধু নয়
পুড়েছে আমাদের হৃদয়
পুড়েছে আমাদের আশা ও স্বপ্ন
পুড়ে খাক হলো দুখী-দেশ!
শিশুদের পুড়ে যাওয়া শীর্ণ শরীরগুলো
স্বজনের বুকে জ্বলিয়ে দিয়েছে অনন্ত আগুন!
একটি গোটা দেশ যখন স্বজনহারার যন্ত্রণায় চিৎকার করে
তখন কে কার জুড়াবে ক্ষত!
কীভাবে সম্ভব ব্যথা-বিনিময়!
সর্বনাশ হয়ে গেছে
সর্বনাশ হয়ে গেছে আমাদের
এক দীর্ঘসারি সর্বহারা মানুষের দল
কী করে সামনে এগোবে এখন!
একবার ঝাঁপ দিলেই কবিতা
নাইমুল করিম
কেউ কেউ বহু দম্ভ দেখিয়ে বলেন- কবিতা কী ছেলেখেলা।
কেনো? কোনো তুমুল বৃষ্টিতে-
গার্লস কলেজের মোড়ে একটানা দাঁড়ানো স্মৃতি ঘষেমেজে কী
১টা কবিতা হয় না!
কাছের কারোর থেকে পাওয়া উপহার অবজ্ঞা, ভালোবেসে কী
১টা কবিতা হয় না!
সহসা পথমধ্যে কোনো নিঠুর বন্ধুর দেখা হলে
কথা না হোক, না বলা কথা না বলুক,
কিন্তু তার মায়াপ্রপঞ্চ চোখে তাকিয়ে কী
১টা কবিতা হয় না!
তদুপরি উপেক্ষা বিরহ তো ভীষণাকার আগুনের এক কুণ্ডলী!
একবার সাহস করে ঝাঁপ দিলেই অসংখ্য অসংখ্য কবিতা...
প্যানেল/মো.