
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের উপর মার্কিন শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, পরিবর্তিত শুল্কনীতি পারস্পরিক অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের আলোচক দলের কৌশলগত দক্ষতা এবং স্থির প্রতিশ্রুতির কারণেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের তুলনামূলক সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকবে এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার আরো জোরদার হবে।
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে এই সমঝোতা দ্রুততর প্রবৃদ্ধি ও স্থায়ী সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করবে।”
এই ইস্যুতে Policy Exchange Bangladesh-এর চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ বলেন, “মার্কিন রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ ৩৫% থেকে ২০%-এ নেমে আসা বাংলাদেশের জন্য এক চমৎকার সংবাদ। এটি আমাদের অর্থনীতি ও রপ্তানির জন্য বড় স্বস্তি।”
তিনি জানান, এপ্রিল মাসে যখন এই হার ছিল ৩৭%, তখন বাংলাদেশ কঠিন চাপের মধ্যে পড়ে। পরে জুলাইয়ের শুরুতে তা কিছুটা কমে ৩৫% হয়। দীর্ঘ আলোচনা ও কৌশল নির্ধারণ শেষে তা আরও কমে ২০%-এ নেমে আসায় তিনি বাংলাদেশের আলোচক দলকে অভিনন্দন জানান।
ড. রিয়াজ বলেন, “আমেরিকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। প্রায় ৯০% রপ্তানি রেডিমেড গার্মেন্টস (RMG), বিশেষত ওভেন পোশাক।”
যদি ৩৫% শুল্ক থাকত, তবে মার্কেটে প্রবেশ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ত, যা গ্রোথকে ক্ষতিগ্রস্ত করত। ২০% হার আমাদের প্রতিযোগীদের তুলনায় একটি তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
* ভিয়েতনাম: ২০% শুল্ক — বাংলাদেশের সমান
* ভারত: ২৫% শুল্ক — বাংলাদেশের চেয়ে বেশি
* পাকিস্তান (ডেনিম খাতে): ১৯% — বাংলাদেশের চেয়ে সামান্য কম
* ক্যাম্বোডিয়া: ১৯% — তবে সক্ষমতা বাংলাদেশের সমান নয়
চীনকে সরাসরি প্রতিযোগী হিসেবে না দেখলেও, ভিয়েতনাম, ভারত এবং পাকিস্তানকে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।
ছামিয়া