
.
ভূরাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে চীন বা যুক্তরাষ্ট্র উভয়কেই বাংলাদেশের সহযোগিতা খুবই দরকার। কক্সবাজার, পাহাড়, মানবসম্পদ সবই বাংলাদেশের রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদেরও নিজেদের অবস্থানকে জানান দিতে হলে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন। ফলশ্রুতিতে চীন কৌশলগত কারণেই বাংলাদেশকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশে চীনের বিভিন্ন কূটনৈতিক ও কৌশলগত তৎপরতা লক্ষ্যণীয়। ৩৬ জুলাই বিপ্লবের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করাসহ বর্তমান সরকারের প্রতি জোরালো রাজনৈতিক সমর্থন, বন্দর ও পানি ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হওয়া, সর্বোপরি বিএনপিসহ ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে টেকসই অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কমিনিস্ট পার্টির দেশ চীন। সাবেক রাষ্ট্রদূত কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থানগত কারণেই প্রত্যেক দেশ নিজ নিজ স্বার্থকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে। তাদের এ প্রচেষ্টাকে সফল করতে বাংলাদেশকে খুবই চিন্তাভাবনা করে দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রধান্য দিয়ে সামনে এগোতে পারলে বাংলাদেশ অবশ্যই বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখতে পারবে। ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থের সমন্বিত প্রয়াস জোরদার করতে হবে।
বিভিন্নদেশে বাংলাদেশের মিশন, দূতাবাস, এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে পেতে চায়। সে জন্য চীন ইতোমধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কন্ট্রাকশনসহ বিভিন্নখাতে নিজেদের তৎপরতা জানান দিচ্ছে। অপরদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও শুল্কের ক্ষেত্রে সুযোগ দিচ্ছে।
ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বড় অর্জন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে ঢাকার চীনের সম্পর্ক অংশীদারিত্ব জোরালো করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত চীন। তিনি বলেন, সময় এসেছে বাংলাদেশকে তার প্রকৃত বন্ধু চিনে নেওয়ার।
কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অঞ্চলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান ভূরাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রতিযোগিতা বাংলাদেশকে আরও কঠিন সমীকরণের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
চীন তার বেন্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোকে তাদের বলয়ভুক্ত করতে চাইছে।
এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে জনকণ্ঠকে বলেছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এম মুনিরুজ্জামান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দুটোই বাংলাদেশকে নিজ নিজ অবস্থানে ঠিকে রাখার জন্য বাংলাদেশকে কাজে লাগাচ্ছে। বাংলাদেশ তাদের চাহিদাকে কাজে লাগাতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। যার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি অবস্থান এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান বলেন, সাময়িক অসুবিধা হলেও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশকে অবশ্যই চীনের দিকে ঝুঁকতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের পাকিস্তান মডেলকে অনুসরণ করার সুযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব নেওয়ার পর দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০-২৪ জানুয়ারি বেজিং সফর করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ওই সফরেই তৈরি হয় ঢাকা-বেজিং সম্পর্কের অন্যরকম অভিজ্ঞতা। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর আমন্ত্রণে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২৬-২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ওই সফরটি ছিল কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের পক্ষ থেকে বিরল সম্মান জানানোর পাশাপাশি চীনের পক্ষ থেকে জোরালো রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন জানানো হয়। তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় সার্বিক সহায়তার অঙ্গীকার করা হয়। মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবস্থাপনায় যুক্ত করা হয় চীনকে যা ছিল একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের তৈরি ১৬টি জে-১০ সি মাল্টিরোল ফাইটার জেট কেনার প্রস্তাব করা হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়িক স্বার্থে যেকোনো নিজ দেশের প্রয়োজনে অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাকতে পারে। এ দিকটিকে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে গত ১৯ জুন চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়Ñ বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিদেশীয় ফোরাম গঠনের জন্য একমত হয়েছে তিন দেশ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কৌশলগত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে অব্যাহত তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠকের পাশাপাশি দলগুলোর নেতৃবৃন্দকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত ৭ নভেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করে।
অতীতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ এবং বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চীনের পক্ষ থেকে সম্পর্ক বজায় রাখা হলেও বাংলাদেশের ইসলামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগই ছিল না। তবে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতায় ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা কৌশলগতভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
গত ২৭ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চীন সরকারের আমন্ত্রণে বিভিন্ন ইসলামি রাজনৈতিক দলের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করে। ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ তাহের। এরপর গত ১১-১৫ জুলাই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল চীন সফর করে। ওই সফরকে উভয়পক্ষ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্র্ণ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, চীনের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু জানার এবং শেখার রয়েছে। চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, সিপিসি এবং জামায়াতের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে আমরা কাজ করছি।
বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এমনকি হেফাজতে ইসলামের উত্থানের পর হেফাজত নেতাদের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা দেখা করেছেন। তবে চীন অতীতে ইসলামপন্থি দলের ব্যাপারে তেমন কোনো আগ্রহ দেখায়নি। হঠাৎ করে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা উদ্বেগ তৈরি করেছে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের মাঝে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। তবে চীন ইস্যুতে ইউনূস সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে দ্বিধা করছে না মার্কিন প্রশাসন।
রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর মনে করছেন, ট্রেড নেগোসিয়েশনে যা আলোচনা হচ্ছে সেখানে ট্রেডের তুলনায় ভূরাজনীতিই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন ট্রেড নেগোসিয়েশনে থার্ড পার্টি হিসেবে চীন বসে আছে। সাদা চোখে সেটা হয়তো দেখা যাচ্ছে না।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্দর, জেটি এবং জাহাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি লজিস্টিকস সিস্টেম ‘লগিঙ্ক’ ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে চীনের প্রভাব মোকাবিলার পাশাপাশি নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে জোরালোভাবে তৎপর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সময়ে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন কূটনীতিকদের ব্যাপক তৎপরতা দৃশ্যমান। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় করছেন মার্কিন কূটনীতিকরা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে। মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন গত কয়েকদিন আগে লন্ডনে গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করে এসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে। ঢাকায় ফিরে জ্যাকবসন বৈঠক করেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে। এসব বৈঠকে আগামী দিনের বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে।
বাংলাদেশ প্রভাব বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্র-চীন কৌশলগত প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এম শহীদুজ্জামান বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন নেগোসিয়েশনের নামে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যা করছে তাকে কোনোভাবেই কূটনীতিক বলা যাবে না।
ভারত বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি। ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই বলে না। ভারতের হুমকি মোকাবিলায় চীনের বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্রের কথামতো এখন যদি বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমিয়ে দেয়, তাহলে চীন আর কখনোই আমাদের বিশ্বাস করবে না। এটা আমাদের জন্য আত্মঘাতী হবে।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, ভূরাজনীতি খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। তাই যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে খুবই সতর্ক হতে হবে।
বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তি করায় বাংলাদেশের শুল্ক নিয়ে আলোচকদের আমরা গর্বের সঙ্গে অভিনন্দন জানাই, যা কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনূস।
প্যানেল