
ছবি: সংগৃহীত।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার হওয়া দুই শতাধিক ভিআইপি আসামির মধ্যে ৫৯ জনকে বিশেষ নিরাপত্তার আওতায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব হেভিওয়েট রাজনীতিক ও সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।
কারা সূত্র জানায়, বর্তমানে ১৬১ জন ভিআইপি আসামি বিভিন্ন কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদায় রয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ঝুঁকির শঙ্কা থাকায় আলাদা সেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও উচ্চপদস্থ আমলা।
বিশেষ নিরাপত্তার জন্য গঠিত এ সেলে সাধারণ বন্দিদের প্রবেশাধিকার নেই। এসব ভিআইপি আসামির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে চৌকস কারারক্ষীদের বাছাই করে আনা হয়েছে।
এ তালিকায় রয়েছেন—সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, মেয়র আতিকুল ইসলাম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম, সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজ, বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক, মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সুবহান গোলাপ, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ আরও অনেকে।
এছাড়াও, ডিভিশন না পেলেও নিরাপত্তা বিবেচনায় সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, আব্দুর রহমান বৌদি ও ইকরামুল করিম চৌধুরীকেও একই সেলে রাখা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, “কারাগারে সাধারণ কয়েদিদের মধ্যে এসব ভিআইপি আসামিদের নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। একসঙ্গে আলাদা সেলে রাখলে নজরদারি সহজ হয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।”
এর আগে আদালত চত্বরে ভিআইপি আসামিদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের ঘৃণা ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, এমনকি কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে।
নুসরাত