ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত চট্টগ্রামের রাজনীতি

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ১০:২২, ১ আগস্ট ২০২৫

বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত চট্টগ্রামের রাজনীতি

বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে চট্টগ্রামের রাউজানে। চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার এবং ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মধ্যে চলমান বাকযুদ্ধ এবং তাদের অনুসারীদের সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গন।

দু’জনেই রাউজান এলাকার বাসিন্দা এবং একই দলের কর্মী হলেও তাদের রয়েছে পৃথক বলয় ও প্রতিপক্ষীয় অবস্থান।

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার, যখন রাউজানে নিজ এলাকায় যাওয়ার পথে গোলাম আকবর খন্দকারের গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এই হামলার জন্য তিনি সরাসরি দায়ী করেন গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে। অভিযোগে তিনি বলেন, “গিয়াসউদ্দিন কাদেরের নির্দেশেই স্লোগান দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।”

অন্যদিকে, গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “সরাসরি বলল যে আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা ঠিক নয়। আপনারা পুলিশের বা র‍্যাবের কাছ থেকে খবর নিন, আদৌ কোনো গুলির শব্দ শোনা গেছে কি না।”

গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, “গিয়াসউদ্দিন কাদেরের এই সন্ত্রাসী অভ্যাস বহু পুরনো। বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আগেই বহু মার্ডার করেছে তারা।”

জবাবে গিয়াসউদ্দিন কাদের বলেন, “অডিও-ভিডিও দেখে চিহ্নিত করা যাবে কারা অস্ত্র, হকিস্টিক নিয়ে এসেছিল। এদের অনেকেই ছাত্রলীগের লোক।” 

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে রাউজান অঞ্চলে রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়েছে। এই দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে এক বছরে অন্তত ১৫টি হত্যাকাণ্ড, একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। চাঁদাবাজি, বালুমহাল দখল এবং আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই।

সাম্প্রতিক সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বিএনপির হাইকমান্ড গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাইস চেয়ারম্যান পদ স্থগিত করেছে এবং গোলাম আকবর খন্দকারের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি বাতিল করেছে।

এই বিষয়ে গিয়াসউদ্দিন কাদের বলেন, “যারা মাঠের রাজনীতি করে না, তারাই সবসময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে।” 

সানজানা

×