ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে পর্তুগাল!

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ১ আগস্ট ২০২৫

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে পর্তুগাল!

পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশটির কেন্দ্র-ডানপন্থী সরকার সংসদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এবং রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সৌজার সঙ্গে পরামর্শ করবে।

স্পেনের প্রতিবেশী পর্তুগাল এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২৪ সালের মে মাসে স্পেনের বামপন্থী সরকার আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের সঙ্গে একযোগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় এবং অন্যান্য ইইউ সদস্য দেশগুলোকেও একই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে পর্তুগাল আরও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে, তারা জানিয়েছে—ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করে একটি অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছাতে চায়।

গত সপ্তাহে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন, তার দেশও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী এ দেশটি যদি সিদ্ধান্ত কার্যকর করে, তবে তা হবে পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রথম বড় রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া।

ফ্রান্সের এই ঘোষণাটি আসে এমন এক সময়, যখন গাজায় ইসরায়েলের হামলা, দুর্ভিক্ষ ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘিরে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ তীব্রতর হচ্ছে। ব্রিটেন ও কানাডাও ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

লুইস মন্টেনেগ্রো এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে—রাষ্ট্রপতি এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে, যেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যায়। এই প্রক্রিয়া আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন পর্যন্ত গড়াতে পারে।”

জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় ১৪৪টি দেশ ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এসবের বেশিরভাগই বৈশ্বিক দক্ষিণাঞ্চলের দেশ, যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, চীন ও ভারত।

তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য দেশের মধ্যে মাত্র অল্প কয়েকটি দেশ—মূলত পূর্ব ইউরোপের সাবেক কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি সুইডেন ও সাইপ্রাস—ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সানজানা

×