
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি—এমনটাই জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলকৃত এলাকাগুলোতে রোহিঙ্গাদের চলাফেরায় কড়াকড়ি, লুটপাট, আটক, মারধর, শিশুদের জোরপূর্বক নিয়োগ ও চাঁদাবাজি করছে এই গোষ্ঠীটি।
এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া পরিচালক এলেইন পিয়ারসন বলেন, “মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পথে হাঁটছে আরাকান আর্মি, অবিলম্বে এসব নিপীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার।”
২০২৩ সালের শেষ দিকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর উত্তর রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নেয় আরাকান আর্মি। তখন প্রতিশ্রুতি ছিল, সব জাতিগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়সংগত শাসনব্যবস্থা গড়ার। বাস্তবে রোহিঙ্গারা অভিযোগ করছে, শাসন ব্যবস্থা বৈষম্যমূলক ও দমনমূলক।
রাখাইনে বর্তমানে সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি—উভয় পক্ষের সহিংসতায় রোহিঙ্গারা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২৩ সালের শেষদিক থেকে এ পর্যন্ত রাখাইন ও চীন রাজ্যে ৪ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, আর বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, তাদের জমি, ঘরবাড়ি ও কবরস্থান দখল করে নেয়া হচ্ছে। কৃষিকাজ ও জীবিকায় বাধা, পণ্যের দামে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি ও খাদ্যসংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
রাজু