ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

বিদেশ বিভাগের সব খবর

দক্ষিণ সিরিয়ায় সহিংসতায় নিহত প্রায় ৬০০

দক্ষিণ সিরিয়ায় সহিংসতায় নিহত প্রায় ৬০০

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সা¤প্রতিক সা¤প্রদায়িক সহিংসতায় অন্তত ৫৯৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটিতে সংঘাত-সংঘর্ষ পর্যবেক্ষণ করা একটি সংস্থা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এ সিরিয়ান অবজারভেটরি অব হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) রবিবার থেকে সুয়েইদা প্রদেশে ছড়িয়ে পড়া বিস্তৃত সহিংসতায় সংঘটিত হত্যাকাÐগুলোতে নজিরবিহীন বর্বরতা নথিভুক্ত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সংখ্যালঘু দ্রæজ স¤প্রদায়ের ৩০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে, এদের মধ্যে ১৪৫ জন যোদ্ধা, বাকিরা বেসামরিক। এদের মধ্যে ৮৩ জনকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ‘নির্বিচারে হত্যা’ করেছে বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে এসএওএইচআর। সরকারি বাহিনীর ২৫৭ জন ও ১৮ বেদুইন যোদ্ধাও নিহত হয়েছে। তিন বেসামরিক বেদুইনকে দ্রæজ যোদ্ধারা মেরে ফেলেছে, বলেছে তারা। বেদুইন আর দ্রæজ স¤প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ থেকে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয়। এদিকে সিরিয়ার ওপর ইসরাইলের হামলাকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রæস বলেছেন, ‘আমরা ইসরাইলের সা¤প্রতিক হামলাগুলোকে সমর্থন করিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সংকট মোকাবিলা ও দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ইসরাইল ও সিরিয়ার সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের ক‚টনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছি।’

অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য না করার নির্দেশ  ট্রাম্প প্রশাসনের

অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য না করার নির্দেশ  ট্রাম্প প্রশাসনের

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত মার্কিন ক‚টনীতিকদের সেসব দেশের নির্বাচনের ন্যায্যতা বা অখÐতা সম্পর্কে মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিন ক‚টনীতিকদের পাঠানো তারবার্তায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বার্তা পাঠায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।   এতে বলা হয়, ‘এখন থেকে কোনো দেশের নির্বাচন নিয়ে সেই দেশের মার্কিন দূতাবাস কিংবা ওয়াশিংটন থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা হবে না। যেহেতু কোনো বিদেশি নির্বাচন সম্পর্কে মন্তব্য করা উপযুক্ত হয়, তাই আমাদের বার্তা সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত। শুধুমাত্র বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানোর ওপর দৃষ্টি দেয়া উচিত।’ এতে আরও বলা হয়, ‘কোনো দেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি হয়নি, বৈধ হয়েছে কি হয়নি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলোকে সমুন্নত রাখতে পেরেছে কি পারেনি-  এসব নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসে কর্মরত ক‚টনীতিকরা আগ বাড়িয়ে আর মন্তব্য করবে না। এ ছাড়া কোনো পক্ষ প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তা এড়িয়ে যেতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ক‚টনীতিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’ তারবার্তায় মার্কিন প্রশাসন জানায়, ‘নির্বাচন-সম্পর্কিত কোনো বার্তা দিতে হলে তা সচিবের নিজের কাছ থেকে অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছ থেকে আসা উচিত। কিন্তু, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের স্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া মার্কিন ক‚টনীতিকদের এই ধরনের বিবৃতি জারি করতে নিষেধ করা হচ্ছে।’   এর আগে গত ১৩ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রদান করা এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়টি নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেভাবে তাদের নিজেদের ব্যাপারগুলো সামলাতে চায়- পারবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আর ‘নাক গলাবে’ না, বরং অংশীদারিত্ব জোরদার করতে মনোযোগী হবে।’  

পরিকল্পিতভাবে গাজার সব ভবন ধ্বংস করল ইসরাইল

পরিকল্পিতভাবে গাজার সব ভবন ধ্বংস করল ইসরাইল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী হাজার হাজার বেসামরিক ভবন পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে স্যাটেলাইট চিত্র, যাচাই করা ভিডিও ফুটেজ ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে। মার্চ মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহারের পর থেকে এই ধ্বংসযজ্ঞ চলছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। স¤প্রতি প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, গাজার বহু শহর ও উপশহরের অধিকাংশই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকায় একসময় হাজার হাজার মানুষের বসবাস ছিল। ইসরাইল দাবি করছে, এই এলাকাগুলো বর্তমানে তাদের ‘অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে। বিবিসির যাচাই করা ফুটেজে দেখা গেছে, বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভবন ধসে পড়ছে, বাতাসে উড়ছে ধুলা ও ধ্বংসাবশেষ। শুধু যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে, তা নয় বরং অক্ষত ভবনগুলোকেও ইচ্ছা করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে গাজার স্কুল, হাসপাতাল, টাওয়ার বøক, এমনকি শিশুদের জন্য পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রও। রাফাহ শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত টেল আল-সুলতান এলাকায় অবস্থিত একমাত্র মাতৃসদন হাসপাতাল ও অনাথ শিশুদের যতœকেন্দ্রসহ প্রায় সব অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, এই এলাকার অধিকাংশ ভবন আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। তবে জুলাইয়ের মাঝামাঝি নাগাদ পুরো এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। কেবল একটি হাসপাতাল এখনো টিকে আছে। এছাড়া রাফাহর সৌদিপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় ইসরাইলি বুলডোজার ও ট্যাংকের উপস্থিতি দেখা গেছে। ভিডিওতে ধরা পড়েছে, রাস্তার পাশে খননযন্ত্র দিয়ে ভবন গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভ‚খÐে হত্যাযজ্ঞ চলছেই। সবশেষ ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৮ হাজার ৭০০ জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, গাজায় একমাত্র ক্যাথলিক গির্জায় ভুল করে হামলা হয়েছে। তিনি ট্রাম্পকে জানান, ভুল করে গির্জায় হামলা করেছে ইসরাইল। হলি ফ্যামিলি নামে ওই ক্যাথলিক গির্জায় হামলায় তিনজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়।