
ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক নাটকীয় মোড় নেয় ১৩ জুন, যখন ইসরাইল হঠাৎ করে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বেশ কিছু সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো অঞ্চল। তবে মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তেহরান ও তেল আবিব।
তবে প্রশ্ন উঠেছে—বলাৎকারভাবে হামলা শুরু করা ইসরাইল কেন হঠাৎ পিছু হটল? বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে ইরানের চমকপ্রদ প্রতিরোধ ও গোয়েন্দা কৌশল।
ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে ইরান 'অপারেশন ট্রু প্রমিস' নামে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলায় বেশ কয়েকটি ইসরাইলি সামরিক স্থাপনায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়। পাল্টা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও বিটু বোমার দিয়ে ইরানের নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইসফাহানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
তবে ইরান শুধু আক্রমণ প্রতিহত করেই থেমে থাকেনি। কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদসহ আরও কয়েকটি ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায় তারা। এতে স্পষ্ট হয়, ইরান প্রতিক্রিয়াশীল নয়—বরং প্রস্তুত ও সক্ষম।
ইরান কীভাবে ঘায়েল করল ইসরাইলকে?
ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী সাঈদ ইসমাইল খতিব জানিয়েছেন, শুধু সামরিক শক্তি নয়, বরং গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার সমন্বিত তৎপরতাই শত্রুপক্ষকে বাধ্য করেছে পিছু হটতে।
তিনি জানান, পুরো যুদ্ধকালীন সময়ে ইরানের অভ্যন্তরে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি, যা তাদের নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দৃঢ়তা প্রমাণ করে। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ড্রোন প্রযুক্তি ও মনোবল—সবমিলিয়ে ইরান ছিল সর্বোচ্চ প্রস্তুত।
বিশ্লেষকদের মতে যুদ্ধবিরতির পেছনের কারণগুলো:
-
ইরানের ক্ষিপ্র ও কার্যকর পাল্টা হামলা
-
অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও জাতীয় সংহতি
-
উন্নত গোয়েন্দা নিরাপত্তা কাঠামো
-
সুসংগঠিত ও কৌশলগত সামরিক নেতৃত্ব
নুসরাত