
মে দিবসের ছুটি ছিল বৃহস্পতিবার। শুক্র-শনিবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে তিন দিনের অবকাশ। ব্যস্ততায় ক্লান্ত, কিছুটা সচ্ছল চাকুরে ঢাকাবাসী টানা তিনদিনের ছুটি পেয়ে ঢাকার বাইরে বেড়াতে যাওয়ার কারণে ঢাকা বেশ কিছুটা ফাঁকা হয়ে পড়েছিল। তিনদিন পরে শিক্ষালয় ও অফিস খুললে তাই রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ, কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে।
বিষাক্ত বাতাস বিশুদ্ধকরণ!
রাজধানীর বায়ুদূষণের ভয়াবহতা নিয়ে কোটি ঢাকাবাসী সতর্ক ও সচেতন না হলেও পরিস্থিতি সবার জানা। বায়ুমান বাড়ানোর জন্যে বায়ু পরিশোধন যন্ত্র স্থাপনের উদ্যোগ দেখে অনেকেরই সেই বাংলা প্রবাদ মনে পড়ে যাবে- গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালা। বিগত কয়েক দশক ধরে অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা মহানগরী গড়ে তুলে এবং সম্প্রসারিত করে শত সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। এখন ওপরে-ওপরে জল ঢেলে আর কতোটা ফল মিলবে?
রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে নগরীর অন্তত ৫০টি জায়গায় ডিএনসিসির এয়ার পিউরিফায়ার স্থাপনের পরিকল্পনা স্বল্পমেয়াদি প্রচেষ্টা হিসেবে প্রশংসনীয় হলেও দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই সমাধান নয় বলে বলছেন গবেষকরা। বায়ুদূষণ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে মূল কারণগুলোর বিরুদ্ধে সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ তাঁদের।
সম্প্রতি গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবনে এক পলিসি ডায়ালগে এসব যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনার কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। প্রতিটি যন্ত্র ১০০ গাছের সমপরিমাণ বায়ু পরিশোধন ও শীতলীকরণে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে।
বায়ুদূষণ নিয়ে কাজ করা গবেষকরা বলছেন, ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে এ ধরনের পিউরিফায়ার স্থাপন করে সামগ্রিক বায়ুমানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আনা কঠিন। বায়ুদূষণ রোধে স্বীকৃত উপায়গুলোর মধ্যে এয়ার পিউরিফায়ার নেই। এটি ছোট পরিসরে সাময়িক স্বস্তি পেতে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো যেতে পারে।
এত আলোচনার পরও বায়ুদূষণ বন্ধ হয় না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, ‘সমাধান আসে না। কারণ, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কথা বেশি বলি, কিন্তু কাজ করি কম। বায়ুদূষণ না কমার কারণ এটাই। শীতকালে যখন দূষণ বেড়ে যায়, তখন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করা হয়, টাস্কফোর্স করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো আর নেওয়া হয় না।’
বায়ুদূষণ মোকাবিলায় মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দেন এই গবেষক। কার্যকর সমাধানগুলোর মধ্যে রয়েছে- পুরানো ও কালো ধোঁয়া ছাড়ানো যানবাহন নিয়ন্ত্রণ; নির্মাণস্থলে ধুলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিয়ম প্রয়োগ; অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা; সবুজায়ন ও নগর-পরিকল্পনায় পরিবেশবান্ধব নীতিমালা গ্রহণ এবং বায়ুর গুণমান মনিটরিং স্টেশন স্থাপন করে দূষণের মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ।
মহান মে দিবসে
শ্রমিক সংগঠন
কর্মঝুঁকি স্বল্প মজুরি নিয়ে আমাদের নানা সেক্টরের শ্রমিকেরা কেমন আছেন, সেটি আমরা জেনেও না জানার ভান করি। মালিকশ্রেণির মানসিকতা বিষয়েও ভুক্তভোগীরা জানেন। এমন একটা বাস্তবতায় বারবার ফিরে আসে মে দিবস। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রেরণার দিন মে দিবস। এদিন ঢাকায় রুটিনমাফিক নানা আয়োজন হয়ে থাকে। তবে শ্রমিক সংগঠনদের অনুষ্ঠান থেকে কিছুটা হলেও বাস্তব পরিস্থিতি সম্বন্ধে জানা যায়। মে দিবসে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জিপিওর সামনে জাসদ চত্বরে লাল পতাকা সমাবেশ করেছে জাতীয় শ্রমিক জোট। সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, পল্টন, তোপখানা, প্রেস ক্লাব এলাকার সড়কগুলোয় লাল পতাকা মিছিল প্রদক্ষিণ করে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশন। এ সময় দেশের শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল হাসান নয়ন, কার্যকরী সভাপতি আঁখি, অ্যাপ বেইজড ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়নের সভাপতি বেলাল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মোহসীন প্রমুখ।
মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ)। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন টাফ সভাপতি ফয়জুল হাকিম। বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা মো. রফিক আহমেদ, মো. আসাদুল্লাহ ও মো. মোসলেম উদ্দিনসহ অনেকে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃপক্ষের কাছে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন বিএডিসির অনিয়মিত শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা।
আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রেসক্লাবে আয়োজিত মে দিবসের এক আলোচনায় বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো শ্রমিকদের কথা মুখেমুখে বলে কিন্তু একান্তভাবে কোনো দলই শ্রমিকদের কথা বলে না।
ভব্যতার সংকট
নিজের বাসায় কোনো ব্যক্তির আচার আচরণে ত্রুটি থাকলে তা শুধু পরিবারের মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু পাবলিক প্লেসে, যেমন কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের জমায়েতে কিংবা মেট্রোরেল বা বাসের ভেতর অবাঞ্ছিত আচরণ করা হলে সেটা অন্য দশজনের বিরক্তির কারণ ঘটায়। এক সময় দেশে মোবাইল ফোনের চল ছিল না। হাটেমাঠেবাটে আর পাবলিক বাসে এত বাচালতারও সুযোগ ছিল না। এখন ঢাকা মহানগরীর পথে যারা বের হন তাদের প্রায় প্রত্যেকের কাছেই একটি করে মোবাইল থাকে বলেই অনুমান করি। গণপরিবহনের ভেতর মোবাইল ব্যবহার নিয়ে যাত্রীদের সচেতন করার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। বাসের ভেতর নানা উপদেশবাণী লেখা থাকত আগে। এখন কমই থাকে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাসের ভেতর স্টিকার লাগানোর সুপারিশ জানাতে হবে। তাতে বড় বড় করে দুটো বাক্য লেখা আবশ্যক : মোবাইল ফোন সাইলেন্ট রাখুন। শুধু জরুরি আলাপ সারুন নিচু গলায় অতি সংক্ষেপে।
দেখে শুনে যথেষ্ট শিক্ষিতই মনে হয় এমন লোককেও দেখেছি বাসের ভেতর হাই ভলিউমে ফোন চালু রাখেন। মেট্রোরেলেও তাই। উচ্চৈঃস্বরে তার ফোন বেজে চললেও তিনি ধরেন না, পাশের জন নোটিস করলে তখন ধরেন। আরও এক শ্রেণির যাত্রী আছেন যারা মোবাইলে একান্ত ব্যক্তিগত আলাপ বা ব্যবসায়িক আলাপ জোশ ও জোরের সঙ্গে চালিয়ে যান। এমনকি ঝগড়াঝাটিও করে থাকেন। তাদের কণ্ঠস্বরও এত চড়া যে প্রত্যেক যাত্রীর কানের পোকা খসিয়ে দিতে সক্ষম। এরা কবে প্রকৃত শহরবাসী হয়ে উঠবেন?
লক্কড়-ঝক্কড় কালো ধোঁয়ার গাড়ি
রাস্তায় বের হলেই আমাদের চোখে পড়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ি। কোনো কোনো গাড়ি কালো ধোঁয়া লাগাতারভাবে উদগীরণ করতেই থাকে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, ঢাকাসহ সারা দেশে চলাচলকারী ৭৫ হাজারের বেশি বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংকলরির আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরানো এসব যানবাহন দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে।
পুরানো যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও নেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মালিকরা। এবারও তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন না। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাসে বিআরটিএ এক প্রজ্ঞাপনে বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংকারের ইকোনমিক লাইফ (অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল) নির্ধারণ করে দেয়। এতে বলা হয়, বাসের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল হবে ২০ বছর এবং ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ২৫ বছর। বিআরটিএ বলছে, সারা দেশে নিবন্ধিত বাস-মিনিবাসের সংখ্যা ৭৬ হাজার ২৮১। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৭৬১টি বাস-মিনিবাসের বয়স ২০ বছরের বেশি। অর্থাৎ সরকারি সিদ্ধান্ত মতে, ৩৭ দশমিক ৭০ শতাংশ বাস-মিনিবাসই আয়ুষ্কাল পেরিয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকাসহ সারা দেশে নিবন্ধিত ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংকলরির সংখ্যা ৩ লাখ ৭২ হাজার ১৭৪। এর মধ্যে ২৫ বছরের চেয়ে বেশি পুরানো এই ধরনের যানবাহনের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৪৮১। অর্থাৎ আয়ুষ্কাল পেরোনো ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও লরি প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ।
বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও লরির মেয়াদ পেরিয়েছে, সেগুলো অনেক পুরানো। এমনকি ৫০ বছরের পুরানো ট্রাক-লরিও চলছে।
যানবাহন যত পুরানো হয়, বায়ুদূষণ তত বাড়ে। দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ে। বায়ুদূষণের একটি বড় অংশের কারণ এই পুরানো যানবাহন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখছি মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের হতদরিদ্র মানুষ, যারা এই চামড়া বিক্রির টাকার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই অব্যবস্থাপনার অবসান হওয়া প্রয়োজন।’
বিএনপি নেতা তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট- বিদেশীদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।’ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ দেয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান।
মেট্রোরেলের চলার সময় বাড়ানোর প্রত্যাশার কথা জানান এক নারীকর্মী। দেশের সুপরিচিত একটি ব্র্যান্ডের পান্থপথের বিক্রয়কেন্দ্রে চাকরি করেন ওই নারী। তাঁর বাসা মিরপুরের পল্লবীতে। মেট্রোরেল চালুর পর তাঁর চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে। একটু বেশি খরচ হলেও তিনি নিরাপদে মেট্রোরেলে চলাচল করেন। কিন্তু প্রায়ই রাতে বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করে এবং বেচাকেনার হিসাব শেষ করতে দেরি হয়। তখন আর মেট্রোরেল ধরতে পারেন না। তাই সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান যাতে আরো বেশি সময় ধরে মেট্রোরেল চালু রাখা যায়। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে রাতে বাসে ওঠা কঠিন। মেট্রোরেলের সময় যদি আরেকটু বাড়ত, তাহলে অনেক সুবিধা হতো।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এটি এক যুগ আগে ঢাকায় সংগঠনটির বিশাল জমায়েতের কথাই ঢাকাবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, এবারের মহাসমাবেশের মুখ্য দাবি মূলত চারটি। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা দেশে হেফাজত নেতাদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার। এরপর যথাক্রমে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিগুলো রয়েছে।
এ কলামে এবারের সংগৃহিত নির্বাচিত ছবিটি ডেইলি স্টারের প্রথম পাতায় ৪ মে প্রকাশিত হয়।
০৪ মে ২০২৫
[email protected]
প্যানেল