ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আগ্রাসন ও চীনের ভূমিকা

মোহাম্মদ নাঈম মিজি

প্রকাশিত: ০০:১২, ৫ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আগ্রাসন ও চীনের ভূমিকা

ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিশ্ব-রাজনীতিতে তার শুল্ক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অস্থিরতার বাতাস বিরাজমান। ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করলেও শত্রুর ওপর প্রতিশোধ নিতে বিন্দুমাত্র কৃপণতা করেন না। আর সেখানে তিনি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন অর্থনৈতিক শক্তি। সর্বদাই বিশ্ব রাজনীতিকে রাখেন তার বগলে। যার ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে তৈরি হয় গরম এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ।

ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদ নীতির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। ট্রাম্পের এই নীতির ফলে বিভিন্ন দেশ তাদের অবস্থান সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছে। অর্থনৈতিক আগ্রাসন মূলত চীনের ওপর হলেও সুরক্ষাবাদনীতির কারণে বিভিন্ন দেশও এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বর্তমান সময়ে হোয়াইট হাউস সামরিক শক্তি সীমিত করলেও অর্থনৈতিক ক্ষমতার ছুড়ি ঘোরায় যখন যার ওপর ইচ্ছা।

ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা বিষয়টাকে আরও তীব্র করেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আগ্রাসন ও তার সম্ভাবনা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ ও তার কার্যকরীতা কতটুকু তাও আলোচনার বিষয়।
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্রিকসের বলয়ও গতিশীল হচ্ছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশ দেখিয়েছে  তাদের আগ্রহ। ফলে এটা দৃশ্যমান হয় যে, চতুর্থ বিশ্বব্যবস্থার নড়বড়ে অবস্থা। বর্তমানে ব্রিকস নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও আদতে কি ব্রিকস পারবে বিশ্ব-রাজনীতির নতুন কেন্দ্র হতে? বিশ্বকে বহুমুখী করার  লক্ষ্যে এর প্রতিষ্ঠা। বাস্তবে তা কতটুকু কার্যকর তা প্রশ্নবিদ্ধ।

তবে ব্রিকস-এর নেতৃত্বই বলে দেবে তা কতটুকু সম্ভব। সংগঠনটিতে অনেক দেশ অংশগ্রহণ করেছে যাদের জনসংখ্যা বিশাল এবং অর্থনীতিও বিশাল। তবে সদস্যদের মধ্যে যে অন্তঃর্কোন্দল আছে তা যদি নিরসন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে কোনো পদক্ষেপ কার্যকরী হবে না। কারণ, মিসর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে বাঁধ নিয়ে রেশারেশি, ইরান ও আরব আমিরাতের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এছাড়া প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কও বেশ নাজুক।

বিশ্লেষকের মতে, সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব নিরসন না হলে কোনো কাজেই আসবে না তাদের কোনো উদ্যোগ। যেমন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যংকের তেমন কোনো সফলতা নজরে আসেনি। এছাড়া সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিজেদের মুদ্রায় করার যে প্রস্তাব তাতেও তেমন কোনো সফলতা নেই। আদতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাশিয়া বা চীন ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য বজায় রেখে কতটুকু কার্যকরী পালটা পদক্ষেপ নিতে পারবে সেটাই বলে দিবে আগামীর বিশ্ব-রাজনীতির গতিপথ।

ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ব্রিকস অর্থনৈতিক জোটের সদস্যরা যদি ডলারের পরিবর্তে অন্য মুদ্রা ব্যবহার করে, তবে তাদের ওপর একশ শতাংশ  শুল্ক আরোপ করা হবে। এমতাবস্থায়, ব্রিকস এর দুই প্রধান সদস্য ভারত ও ব্রাজিল যেখানে পশ্চিমের সঙ্গে নমনীয়তা প্রদর্শন করতে চাইছে সেখানে তারা কি এই হুমকি উপেক্ষা  করবে? ভারতকে শুল্ক-এর অন্তর্ভুক্ত করার হুমকিতে ভারতের যে পরিমাণ লোকসানের সম্ভাবনা আছে, তা আসলে ভারতকে নতুন করে ভাবাচ্ছে কোনো সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্রিকসের সফলতা ক্ষীণ হলেও এই দৌড়ে এককভাবে এগিয়ে আছে চীন। সম্প্রতি শুল্ক নিষেধাজ্ঞা বলে দিচ্ছে বিশ্ববাণিজ্যে চীনের ক্ষমতা। নির্বাচনী প্রচারণায় চীনের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের কথা বললেও বর্তমানে তা ১৪৫ শতাংশ। ট্রাম্পের ধারণা চীনের সঙ্গে যে বাণিজ্য ঘাটতি আছে তা যুক্তরাষ্ট্রকে রপ্তানিকারক দেশ থেকে আমদানি-কারক দেশে রূপান্তর করেছে। ২০২৪ সালে চীনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৯৫.৪ বিলিয়ন ডলার।

তাই  শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে চান কিন্তু ট্রাম্পের ‘গধশব অসবৎরপধ মৎবধঃ ধমধরহ’ ও ‘ইড়ুপড়ঃঃ ঈযরহধ’ স্লোগান-যুক্ত ট্রাম্প স্টোরের তৈরি পণ্য চীন থেকে আমদানি করা। এছাড়াও ১৪৫ শতাংশ আরোপিত শুল্ক ইলেকট্রনিকসের ওপর স্থগিত করেছে, যার ফলে অ্যাপল ও এনভিডিয়ার শেয়ার বাড়তে শুরু করে। এতে এটা স্পষ্ট হয় যে, ইলেকট্রনিকসে চীনের ওপর আমেরিকার নির্ভরশীলতা।

চীন কোনো হুমকি-ধমকি না দিয়েই রাজনৈতিক দূরদর্শিতার মাধ্যমে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে এখন প্রায় নীরবতা পালন করছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার যে হট নিউজ করছে, তার বিপরীতে চীন বেশ শান্ত এবং শি জিনপিং ওই সময়ে তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে শুল্ক যুদ্ধের পর থেকে এবং নির্বাচনী প্রচারণায় চীনের ওপর শুল্ক আরোপ নিয়ে হুমকির বিপরীতে চীন কৌশলী ও ভবিষ্যৎ অনুমান করার মাধ্যমে দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

প্রযুক্তি খাতে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডিপসিক, ম্যানাস প্রমাণ করে চীনের সক্ষমতা। যদিও অনেক বিশ্লেষকের মতে চীন কেবল আমেরিকাকেই অনুকরণ করে তাদের কোনো ইনোভেশন নেই। তারা হয়তো ভুলে গেছে শত্রুকে কখনো খাটো করে দেখতে নেইÑ এই ব্যাপারটা চীন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। অর্থনীতিবিদ শুয়াং ডিং মন্তব্য করেন, চীনের কারখানায় স্বল্প খরচে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উৎপাদন করা যায়।

এটার বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। ফলে বিশ্ববাজারে চীনের নেতৃত্বের দাপট ভাঙা কষ্টকর। চীন এখন বিশ্ববাণিজ্যে এক বিশাল অংশীদার। যার কারণে চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক যুদ্ধ কেবল তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে তা পুরো বিশ্বকে প্রভাবিত করছে।  অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক হতে পারে এ বছরে বিশ্ব বাজারের অস্থিরতার কারণ। যদি না চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কিছু বিষয়ে সমঝোতা করে।

ফলে শ্লথ হয়ে যেতে পারে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। তাই চীনের বিরুদ্ধে সব পদক্ষেপে আদতে যুক্তরাষ্ট্র কতদিন অনড় থাকতে পারবে তাই দেখার বিষয়। শেষবার এমন পদক্ষেপের পর চীনের সঙ্গে সমঝোতার টেবিলে বসতে হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে।  
’To me the most beautiful word in dictionary tariff and it is my favorite word .it will save our country. Only stupid people don’t want to use it or corrupt people also.’- ট্রাম্পের এই উক্তি হয়তোবা অনেকেই শুনেছেন। যা থেকে বোঝা যায় ট্রাম্পের রাজনীতি কতটা বাণিজ্য-কেন্দ্রিক। শুধু তাই নয়, তাকে ঈশ্বর প্রেরণ করেছে আমেরিকাকে রক্ষা করতে এবং তার এই বাণিজ্যযুদ্ধের পথ বেছে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। পরাশক্তি উত্থান-পতনের হিসাব হয়তোবা শেয়ারবাজারের আঙ্গিকেই করে।

তাই দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েও তার বাণিজ্য-কেন্দ্রিক রাজনৈতিক চিন্তাধারার কোনোরকম পরিবর্তন নজরে পড়ছে না। ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা এবং বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা যেন একে অপরের পরিপূরকে পরিণত হয়েছে। তা গত সপ্তাহে বিশ্বে দৃশ্যমান হয়েছে। ট্রাম্পের আমেরিকা ফাস্টসহ এসব পদক্ষেপে মার্কিনিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা এবং একই সঙ্গে চলছে সামাজিক প্লাটফর্মে তৈরি। চীন বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।

সেই সঙ্গে বেড়েছে বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য এবং আমেরিকার মিত্র ইউরোপকেও করেছে তাদের সঙ্গে বাণিজ্যনির্ভর। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিপরীতে অনেক দেশ শত্রুতামূলক আচরণ না করতে পারলেও পাল্টা শুল্ক আরোপের পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু বিশ্ব-রাজনীতির আলোচনা সীমাবদ্ধ নয়, বরং বদলে গেছে বিশ্ব-রাজনীতির দৃশ্যপট। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র তা কীভাবে মোকাবিলা করবে তাই বলে দেবে মার্কিনিদের ভাগ্য। ইজওঈঝ এর উত্থান, ডলার-এর একচ্ছত্র আধিপত্য কমাতে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশগুলো যুক্ত হয়ে নতুন বিনিময় মুদ্রা বাজারে আনার যে সুর উঠেছে তাতে অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, খুব শীঘ্রই যে ইজওঈঝ নতুন বিনিময় মুদ্রা আনতে পারবে বিষয়টা এমন না। তবে যে সুর উঠেছে তাই বা কম কি!

 ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নীতি থেকে বোঝা সম্ভব যে, মার্কিন অর্থনৈতিক ক্ষমতার দুরবস্থার দিক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দৃশ্যমান হয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সামর্থ্য। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে আমেরিকার মিত্র ইউরোপ (বিশেষত জার্মানি) সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ে। ইউরোপ চীনের ওপর বাণিজ্যনির্ভর এবং আমেরিকায় রপ্তানিনির্ভর।

যার ফলে আমেরিকার বলয় থেকে বের হয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নতির পথে হাঁটছে। শুল্ক আরোপের কারণে ইইউর প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশের বেশি হ্রাস পাবে। ন্যাটোতেও যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প। ইউক্রেনে রাশিয়ার জয় হলে ভূমধ্যসাগরসহ ইউরোপীয় অঞ্চলে রাশিয়ার কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পাবে।
ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে দুই ধরনের সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। একদল একে আমেরিকার স্বার্থ রক্ষার উপযোগী মনে করছে। আরেক দল চতুর্থ বিশ্বব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখছে। ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপ মুক্তবাজার অর্থনীতি, বিশ্বায়ন, উদার গণতন্ত্রের সঙ্গে স্পষ্টতই সাংঘর্ষিক এবং আটলান্টিক চার্টারের সম্পূর্ণ বিপরীত। মুক্তবাজার অর্থনীতি বিশ্বকে একটি শ্রেণি বর্তনীতে পরিণত করেছে।

একটা রাষ্ট্রের সমস্যা পুরো বিশ্ববাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ট্রাম্পের পদক্ষেপে বিভিন্ন দেশ বাজার দখলে ব্যর্থ হলে প্রতিশোধ গ্রহণের পথ বেছে নেবে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করা ট্রাম্পের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ মাত্র। কিন্তু চীনের ওপর তা কার্যকর। ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কারণ হচ্ছে বাইডেন প্রশাসনের সময় ইলেকট্রনিক ভেহিকল ও সিরিঞ্জের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক ছিল।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর ২৪৫ শতাংশে পৌঁছায়। যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর বাণিজ্যে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তাই চীনের ওপর শুল্ক যুদ্ধ আত্মঘাতী ছাড়া আর কিছু না। এটা ট্রাম্প প্রশাসনও ভালো করে জানে। তাই অনেক নাটক করেও চীনকে কোনো বাণিজ্যিক চুক্তিতে আনতে পারেনি। কিন্তু সব শেষে বিশ্ব মোড়ল নামক ইগোকে বিসর্জন দিয়ে বাণিজ্যিক চুক্তির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে প্রথম পদক্ষেপ নিতে বলেছে চীনকে।

আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপে যে চীন আমেরিকার বাজার দখলে নেবে তা স্পষ্ট। যার ফলশ্রুতিতে ,ডলারকে ছাড়িয়ে চীনের ইউয়ান বিনিময় মুদ্রায় পরিণত হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে,এতো শীঘ্রই চীনের ইউয়ান বিনিময় মুদ্রা পরিণত হবে না। কিন্তু এভাবে চললে কয়েক দশকের মধ্যে তা বাস্তবায়িত হবে।

কারণ, ইউয়ানের রিজার্ভের পরিমাণ ২.৫৮ শতাংশ। যেখানে ডলারের পরিমাণ ৫৯.০২ শতাংশ। এছাড়াও ব্রিকসের নতুন মুদ্রা আনার পথে ভারত একটা বাধা সৃষ্টি করছে বলে মত আছে। কারণ ভারত চাইছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিজেদের মুদ্রায় পরিণত করতে কিন্তু এটা বেশ জটিল।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ আমেরিকাকে আদতে কতটুকু রক্ষা করতে পারবে, তা দেখা সময়ের ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বাণিজ্যযুদ্ধ যে তাদের খুব বেশি একটা উপকারে আসছে না, তা চীনের নীরবতা দেখলেই বোঝা যায় । খবরের পাতায় চোখ বোলালে মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র ভাবছে তার বর্তমান নিয়ে। আর চীন ভাবছে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে। যেমনÑ ১ম বার বাণিজ্যযুদ্ধের পর চীন তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবেছে, যা আজ কার্যকর।

কিন্তু বিশ্ব-রাজনীতির এই মঞ্চে সামান্য ভুল হতে পারে একটি দেশের জন্য পলিটিক্যাল ট্র্যাজেডি। বাণিজ্যযুদ্ধ ও ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদনীতি কি যুক্তরাষ্ট্রকে পরাশক্তি হিসেবে টিকে থাকার অনুকূল? নাকি তা বিশ্বরাজনীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে!

×