
ছবি: সংগৃহীত
ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি খাতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে ১ হাজার ৪৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ১৯ টাকা কম। মে মাসে প্রতি কেজিতে এলপিজির দাম কমেছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা।
আজ রোববার (৪ মে) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিইআরসি প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেনের দাম বিবেচনায় নিয়ে দেশে দাম নির্ধারণ করে। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো নির্ধারিত সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) এর ভিত্তিতে এ মূল্য সমন্বয় করা হয়। আমদানিকারকদের ইনভয়েস মূল্যের গড় ও ডলারের বিনিময় হার হিসাব করেই বিইআরসি এ দাম নির্ধারণ করে।
এবার বেসরকারি খাতের এলপিজির মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)সহ প্রতি কেজি ১১৯ টাকা ২৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত মাসে ছিল ১২০ টাকা ৮১ পয়সা। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি সিলিন্ডার ছাড়াও অন্যান্য আকারের সিলিন্ডারের দামও নতুন দরে নির্ধারিত হবে।
তবে বিপরীতে, সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম বেড়েছে। সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) দামও সামান্য কমেছে। নতুন দরে প্রতি লিটার বিক্রি হবে ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সায়, যা আগে ছিল ৬৬ টাকা ৪১ পয়সা।
বিইআরসি ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে নিয়মিতভাবে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে। যদিও নির্ধারিত দামে বাজারে গ্যাস বিক্রির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
আসিফ