ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আবশ্যক জননিরাপত্তায়

ড. আলা উদ্দিন

প্রকাশিত: ০০:০০, ৫ মে ২০২৫

সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আবশ্যক জননিরাপত্তায়

সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আবশ্যক জননিরাপত্তায়

বাংলাদেশে চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা কিছুটা কমে গিয়েছিল, যা নাগরিকদের মাঝে নিরাপত্তার অনুভূতি তৈরি করেছিল। তবে, সম্প্রতি এ ধরনের অপরাধ আবারও আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

গত ২৭ এপ্রিল সকালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন একটি সরকারি কলেজের শিক্ষিকা। একটি গাড়ি থেকে একজন ছিনতাইকারী গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ শিক্ষিকার ব্যাগ টান দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই ওই নারীকে গাড়িটির সঙ্গে টেনে নিয়ে যায় চালক। এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এমন ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের সর্বত্র। 
বাংলাদেশের বড় শহর, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে চুরি ও ছিনতাই দীর্ঘদিন ধরেই একটি গুরুতর সমস্যা। একসময় অর্থনৈতিক অবস্থা এবং কঠোর পুলিশি তদারকি ও নজরদারির কারণে এসব অপরাধের সংখ্যা কমে এসেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এসব অপরাধ আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক নাগরিক বর্তমানে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল তিন বছর আগে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে এক যাত্রী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ধীরগতিতে চলন্ত ট্রেনে বসে মোবাইলে কাজ করছিলেন। ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় একজন চতুর অপরাধী হঠাৎ করে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ধীর গতিতে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নেমে যায়।

পরে রেলওয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও ফোনটি আর উদ্ধার করা যায়নি। এই ঘটনা চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার দুর্বলতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের প্রতিফলন ঘটায়।
নিরপরাধ শিশুরাও অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তু। আরেকটি চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল গত ডিসেম্বর মাসে চট্টগ্রামের নিউ মার্কেটের সামনে। একটি পরিবার তাদের দুই শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজির ভাড়া ঠিক করছিল। হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে এক নারী অনায়াসে তাদের সঙ্গে মিশে যান এবং ৭ বছর বয়সী শিশুটির কাছে গিয়ে দ্রুত তার কানে থাকা সদ্য কেনা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই উধাও হয়ে যান কেউ কিছু বোঝার আগেই।

এই ঘটনার সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিক ছিল শিশুটির চুরির বিষয়টি দেরিতে বুঝতে পারা। সিএনজিতে উঠে যখন সে কানে হাত দিয়ে দেখে যে দুল নেই, তখন ছিনতাইকারী অনেক দূর চলে গেছে। ঘটনাটি তার কোমল মনে গভীর দাগ কেটেছে। পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে যান। বুঝতে পারেন কীভাবে এমন একটি ছোট্ট শিশুও আজকের সমাজে অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।

এ ধরনের ঘটনার ফলে শুধু যে আর্থিক ক্ষতি হয় তা নয়, বরং মানসিকভাবে এক গভীর ক্ষত তৈরি করে, যা সহজে ভোলা সম্ভব হয় না। মেয়েটির বাবা-মা এতেই কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন যে, দুল ছিনতাই করে নিয়ে যায়নি, কৌশলে খুলে নিয়ে গেছে। তাই কান কেটে রক্তাক্ত হয়নি; সামান্য কয়েক ফোঁটা রক্ত ক্ষরণ অবশ্য হয়েছে। 
শিশু ও বয়স্কদের শিকার করছে ছিনতাইকারীরা- অপরাধীরা শুধু সাধারণ পথচারীদেরই নয়, এখন বৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অসহায় মানুষদেরও টার্গেট করছে। এমনই এক হৃদয়বিদারক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল গত ১৩ মার্চ, যখন একদল ছদ্মবেশী নারী ভিক্ষুক ফেনী জেলার একটি গ্রামের একটি ব্যক্তিগত বাসায় প্রবেশ করে। বাড়িতে তখন শুধু অসুস্থ এক বৃদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। রমজান মাস হওয়ায় তিনি সহানুভূতির সঙ্গে তাদের এক কেজি চাল ভিক্ষা দেন এবং সেটা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে বলেন।  

তবে এই সুযোগেই তারা তাদের আসল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করে। তারা বৃদ্ধাকে খুশি হওয়ার ভান করে তার মাথার টিপে হাত বুলিয়ে চুল বাঁধতে চায়। সরল বিশ্বাসে বৃদ্ধা তাদের বাধা দেননি। কিন্তু মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই তারা চুরি করে তার অতি গলার স্বর্ণের হার খুলে নিয়ে চম্পট দেয়। কয়েক মিনিট পরে ওজু করার সময় তিনি বুঝতে পারেন যে, তার গলার হার আর নেই। এই চুরির ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। পরে থানায় অন্য একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় চোররা ধরা পড়লেও চুরিকৃত হার আর উদ্ধার হয়নি। 
উপরোক্ত ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের অসংখ্য চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির খবর পাওয়া যায়। বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। অপরাধীরা এখন আরও দুঃসাহসী হয়ে উঠেছে, যা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

নাগরিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কারণ, যে কেউ যেকোনো মুহূর্তে চুরি বা ছিনতাইয়ের শিকার হতে পারেন। ক্রমবর্ধমান সামাজিক সমস্যার সমাধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা জরুরি। পাশাপাশি, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় তৎপরতা নিশ্চিত করা না গেলে, জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতার এই অবস্থা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।
এক সময় এসব অপরাধ কিছুটা কমলেও, সাম্প্রতিক সময়ে এর সংখ্যা উদ্বেগজনকহারে বেড়ে চলেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ভুক্তভোগীরা পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, চলন্ত ট্রেন থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনের ঘটনায় ভুক্তভোগী রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে জিডি করলেও, কোনো তদন্ত বা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্তমান সময়ে পুলিশের ভূমিকা আরও হ্রাস পেয়েছে উদ্বেগজনকভাবে।

এক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রাখলেও, বর্তমানে তা আগের মতো দেখা যায় না। অপরাধ দমনে সময়মতো পদক্ষেপ গ্রহণের অভাব, পর্যাপ্ত নজরদারির ঘাটতি এবং সম্ভাব্য দুর্নীতি ক্রমবর্ধমান অপরাধের মূল কারণ হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীদের প্রতি মানুষের ভয় পুলিশের প্রতি আস্থার চেয়ে বেশি থাকে। ফলে তারা অভিযোগ দায়ের করতেও সংকোচ বোধ করেন। এতে অপরাধীরা দায়মুক্ত থেকে সহজেই তাদের অপরাধ চালিয়ে যেতে পারছে এবং জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতির পুনরুত্থান বিচ্ছিন্নভাবে বা এমনি-এমনি ঘটছে না; এই উদ্বেগজনক প্রবণতায় কয়েকটি সামাজিক-অর্থনৈতিক উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। করোনা মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের বৃদ্ধি অনেক ব্যক্তিকে বেঁচে থাকার জন্য হতাশাজনক উপায় অবলম্বন করতে বাধ্য করেছে।

জীবনযাত্রার খরচ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর আয়ের স্তর এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি। আর্থিক কষ্ট বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, কিছু ব্যক্তি জীবিকা নির্বাহের জন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। অপরাধগুলোর সংগঠিত প্রকৃতি ইঙ্গিত দেয় যে, অপরাধীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ফাঁকফোকর চিহ্নিত করেছে এবং তা কাজে লাগাচ্ছে।

ছিনতাইকারীরা আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিভ্রান্তি, প্রতারণা এবং এমনকি দলবদ্ধভাবে অপরাধ সংঘটিত করছে। অপরাধীদের মধ্যে শাস্তির ভয় না থাকার অনুভূতি আরও বাড়িয়ে তোলে কর্তৃপক্ষের ধীর প্রতিক্রিয়া এবং শিকারদের মধ্যে এই ভয় যে, ন্যায়বিচার মিলবে না।
অপরাধমূলক কর্মকা-ের উত্থান জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি তৈরি করেছে। এখন অনেকেই জনসমক্ষে মূল্যবান সামগ্রী বহন করতে এড়িয়ে চলেন, বিশেষ করে ভিড়যুক্ত এলাকায়। কিছু মানুষ এমনকি রাতের সময় বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত হয়। কারণ তারা ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার ভয়ে থাকে। এমন ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি শুধু ব্যক্তিদেরই প্রভাবিত করে না, বরং এর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে।

একটি সমাজ যেখানে মানুষ ক্রমাগত হুমকির মধ্যে থাকে, সেখানে সমৃদ্ধি অর্জন করা কঠিন। ব্যবসায়ীরা চুরি এবং ডাকাতির ভয়ে থাকে, পরিবারগুলো তাদের শিশু এবং বৃদ্ধ সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং সাধারণ নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ বিনিয়োগ এবং পর্যটনকে নিরুৎসাহিত করে।
অপরাধের হারের বৃদ্ধি তৎকালিক এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতি রোধ করতে আরও সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাতে হবে। যার মধ্যে প্রোঅ্যাকটিভ পুলিশিং, পর্যাপ্ত নজরদারি এবং সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা নেওয়া যেতে পারে তা হলোÑ পুলিশ পেট্রোলিং বৃদ্ধি।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে অপরাধ প্রবণ এলাকায় বিশেষভাবে পিক আওয়ার এবং জনসমক্ষে বেশি দৃশ্যমান হতে হবে। অধিক মোবাইল পেট্রোল অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সহায়ক হতে পারে। জনসম্প্রদায়ের অংশগ্রহণÑ কমিউনিটি পুলিশিংকে শক্তিশালী করা আইনের শাসন এবং নাগরিকদের মধ্যে আরও ভালো সহযোগিতা সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিবেশী নজরদারি প্রোগ্রামগুলো সন্দেহজনক কার্যকলাপ চিহ্নিত করতে এবং অপরাধ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

প্রযুক্তি এবং নজরদারি উন্নত করা- রেলওয়ে স্টেশন, বাজার এবং গণপরিবহন স্টপের মতো কৌশলগত স্থানে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করলে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত ও ধৃত করা যাবে।
কঠোর শাস্তি এবং দ্রুত ন্যায়বিচার- অনেক অপরাধী বিচারব্যবস্থার দেরির কারণে শাস্তি থেকে রক্ষা পায়। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ এবং কঠোর শাস্তি শক্তিশালী প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করতে পারে। সামাজিক-অর্থনৈতিক কারণ সমাধানÑ বেকারত্ব, দারিদ্র্য এবং সামাজিক বৈষম্য অপরাধের হার বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে। সরকারি উদ্যোগ যেমন- অর্থনৈতিক উন্নতি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি অপরাধের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে।

জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধিÑ সাধারণ জনগণকে সম্ভাব্য হুমকি চিহ্নিত করা এবং অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। টেলিভিশন, সামাজিক মাধ্যম এবং সম্প্রদায়ের সভায় সচেতনতা ক্যাম্পেইনগুলো জনগণকে সতর্ক থাকতে সহায়তা করতে পারে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জনসাধারণের আস্থা পুনঃস্থাপন করতে তৎক্ষণিক এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিচারব্যবস্থা শক্তিশালী করা, অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রচার করা অপরাধের মূল কারণ সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদি কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় থাকে, অপরাধের হার আরও বাড়তে পারে।

যার ফলে সাধারণ জনগণ স্থায়ীভাবে ভয় এবং অনিশ্চয়তায় বসবাস করবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও প্রোঅ্যাকটিভ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে এবং সমাজকে একটি এমন পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করতে হবে যেখানে অপরাধের কোনো স্থান নেই। 
লেখক : অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

×