
ছবিঃ সংগৃহীত
সীমান্তে বিএসএফের বাঁধার কারণে ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার বললামুখা বাঁধের সংস্কার কাজ ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জুনে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো অর্ধেক কাজ বাকি রয়েছে। যদি বর্ষার আগেই ২৫০ মিটার বাঁধের মেরামত কাজ শেষ না হয়, তবে স্থানীয়রা আবারো বন্যার কবলে পড়তে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিজিবির পাহাড়ায় এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে কাজ চলছে, এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
গত আগস্টে ফেনী জেলার পরশুরাম সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় অংশে বিএসএফ বাঁধ কেটে দেওয়ার ফলে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়, যার কারণে ফেনী ও আশপাশের কয়েকটি উপজেলার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। বন্যার ছয় মাস পর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাংলাদেশ অংশে বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করে, তবে প্রথম দিকে বিএসএফ বাধা দিলে পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে কাজ শুরু হয়। বর্তমানে কাজের অগ্রগতি প্রায় ৫০ শতাংশ। স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন যে, কিছুদিন পর বন্যা আসতে পারে এবং তারা দ্রুত বাঁধের সংস্কার কাজ শেষ করার জন্য দাবি জানাচ্ছে।
কিছু অংশ বাংলাদেশের ভেতরে পড়ে, যেখানে বিএসএফ বাঁধা দিয়েছিল। তবে, বিজিবি বলছে যে কাজ চলমান থাকবে। যৌথ নদী কমিশনের আওতায় এই বাঁধের কাজ চলছে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আশা করছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সীমানা আইন মেনেই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে, এবং বিএসএফের বাঁধা দেয়ার কোনো আইনগত সুযোগ নেই। যে এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে, তা বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে পড়ে।
মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ১২২ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০২টি স্থানে মেরামতের জন্য প্রায় ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মারিয়া