
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে তিনি আগামী দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে একটি পরবর্তী বৈঠক আয়োজনেরও নির্দেশ দেন।
বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “এই কাজগুলো আমাদের নিজেদের স্বার্থে করতে হবে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে করতে হবে। যে নীতিমালা ও আইন কাজ করছে না, সেগুলো পরিবর্তনের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজতে হবে। এটি একটি মৌলিক বিষয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশের চামড়া শিল্পকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। এই শিল্প থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা থাকলেও, আমরা তা হতে পারিনি।”
বৈঠকে পূর্বের ১৬টি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৪টি, শিল্প মন্ত্রণালয় ৩টি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ২টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৩টি এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ৪টি সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বৈঠকে জানান, ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ১৯টি সংস্থা এতে যুক্ত হয়েছে এবং আরও কিছু সংস্থাকে পর্যায়ক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের ট্যারিফ নীতির বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং বাস্তবায়নের অগ্রগতিও শুরু হয়েছে।
বৈঠকে তৈরি পোশাক খাতের মতো অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাতকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও প্রণোদনা প্রদানের বিষয়েও আলোচনা হয়। বিশেষ করে, ম্যান-মেইড ফাইবার এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এছাড়াও বৈঠকে সাভারের ট্যানারি ভিলেজে স্থাপিত ইটিপি’র পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিতকরণ, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় অবস্থিত এপিআই পার্কের পূর্ণমাত্রায় চালু করা এবং ২০২২ সালের শিল্পনীতির হালনাগাদকরণ প্রসঙ্গে গৃহীত পদক্ষেপগুলো নিয়েও আলোচনা হয়।
Jahan