
দেশের জন্য সামনে থাকা পাঁচ-ছয় দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “আগামী পাঁচ-ছয় দিনে বোঝা যাবে আমরা সামনে কোথায় যাচ্ছি।” তার এই মন্তব্য ঘিরে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ১১ দিনের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোপনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে বড় ধরনের সহিংসতা এবং হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, ক্ষমতা হারানোর প্রায় এক বছর পর আওয়ামী লীগ এবার রাজধানী ঢাকা দখলের পরিকল্পনা করছে। এ লক্ষ্যে দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা গেরিলা প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেছে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হলো, এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের একটি বড় অংশ অবসরে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, যারা বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীও এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
এই প্রশিক্ষণ হয়েছে ভারতীয় শহর দিল্লি ও কলকাতাসহ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, গোপালগঞ্জ এবং আরও কয়েকটি এলাকায়।
এই পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং একটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া আওয়ামী লীগের কয়েক লাখ কর্মী রাজধানী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেছে এবং প্রশাসন তাদের পাশে রয়েছে। এতে সারাদেশে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন এই পরিকল্পনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশব্যাপী তালিকাভুক্ত হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় সমবেত হবেন এবং পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন।
Jahan