
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে নারীদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থা রুখতে নারী সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, “আমার মা-ও এক সন্তান হারিয়েছেন। বহু মা, স্ত্রী, বোন তাঁদের স্বজন হারিয়েছেন। বহু নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনের।”
তারেক রহমান বলেন, দেশে নারী প্রধান পরিবারের সংখ্যা বাড়লেও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতার বিচারে এখনও অনেক নারী পিছিয়ে রয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি ইতোমধ্যেই কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, দেশের প্রায় চার কোটি পরিবারের মধ্যে যারা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ৫০ লাখ প্রান্তিক পরিবারকে লক্ষ্য করে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
এই ফ্যামিলি কার্ড নারীর নামে ইস্যু করা হবে এবং কার্ডধারী পরিবারগুলো প্রতি মাসে রাষ্ট্রীয়ভাবে অর্থনৈতিক কিংবা খাদ্য সহায়তা পাবে। তারেক রহমানের ভাষ্য, “এই উদ্যোগ একদিকে নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ঘটাবে, অপরদিকে পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।”
নারীদের প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশে যাতে আর কোনো দিন ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ বা চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে নারী সমাজকে অত্যন্ত সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে।”
তিনি সকল নাগরিককে উদ্দেশ করে বলেন, “নারী, পুরুষ, শিশু, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য একটি ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
তারেক রহমান দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, “আগামী দিনেও আমাদের মা–বোনেরা অতীতের মতোই এই চলমান অভিযাত্রায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও সমর্থন জানাবেন।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তারেক রহমান নারী সমাজের ভূমিকা, পরিবারের পুনর্গঠন এবং একটি মানবিক বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
Jahan