ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

‘আমি মুঘল বংশধর’: লালকেল্লা ফেরতের দাবি নারীর, সুপ্রিম কোর্টের প্রহসন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ৫ মে ২০২৫

‘আমি মুঘল বংশধর’: লালকেল্লা ফেরতের দাবি নারীর, সুপ্রিম কোর্টের প্রহসন

ছবিঃ সংগৃহীত

সোমবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির লালকেল্লা পুনরুদ্ধারের দাবিতে করা এক নারীর আবেদন খারিজ করে দেয়। ওই নারী দাবি করেছিলেন, তিনি মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর-দ্বিতীয়র প্রপৌত্রের বিধবা স্ত্রী এবং লালকেল্লার বৈধ উত্তরাধিকারী।

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমার সমন্বিত বেঞ্চ আবেদনটিকে “ভুলভাবে উপস্থাপিত ও ভিত্তিহীন” বলে মন্তব্য করে শুনানিতে অগ্রাহ্য করেন।

আদালত সাফ জানায়, “এই রিট আবেদনটি আদতেই ভিত্তিহীন এবং তা গ্রহণযোগ্য নয়।” এমনকি আবেদনকারী সুলতানা বেগমের পক্ষের আইনজীবী যখন আবেদন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন, তখনও আদালত তাতে সায় দেয়নি।

আবেদনকারী পক্ষের দাবি ছিল, “তিনি দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের সদস্য।” জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, “তাহলে শুধু লালকেল্লা কেন, আগ্রা, ফতেপুর সিক্রির কেল্লাগুলো কেন নয়?”

এর আগে, ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ একই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। তখন জানানো হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বেগম যে আবেদন করেছিলেন, সেটি দুই বছর ছয় মাসের বেশি দেরিতে জমা পড়ে—যা গ্রহণযোগ্য নয়।

সুলতানা বেগম আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন, তার অসুস্থতা ও কন্যার মৃত্যুজনিত কারণে তিনি সময়মতো আবেদন করতে পারেননি। তবে হাইকোর্ট এই ব্যাখ্যাকে যথেষ্ট মনে করেনি।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট জানায়, ১৫০ বছরেরও বেশি সময় পর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।

আবেদনে সুলতানা বেগম দাবি করেছিলেন, ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি লালকেল্লা দখল করে নেয় এবং মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, তার পূর্বপুরুষের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি লালকেল্লার মালিক, এবং ভারত সরকার অবৈধভাবে সম্পত্তিটি দখল করে রেখেছে।

আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকারকে লালকেল্লা ফেরত দেওয়া বা ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

মুমু

×