
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনীতিকে ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যেন ক্রমশ রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে পড়ছে। ৫ আগস্টের ঘটনার পর গত ৯ মাসে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ও তাদের পরিবারের ওপর কমপক্ষে ৩৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এই তথ্য উঠে এসেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক মিডিয়া কমিশন এবং বিশ্লেষণী সংস্থা 'বাংলা ফ্যাক্ট'-এর যৌথ গবেষণায়।
এই প্রসঙ্গে যমুনা টিভির একটি টক শোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, “এখানে একটা 'সিংক্রোনাইজেশন' বা সমন্বয়ের ঘাটতি আছে। একটি ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত দুই-আড়াই মাসে যেভাবে হামলার সংখ্যা বেড়েছে, তা আগে ছিল না। ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা অনেকটাই নিরাপদ ছিলেন। কিন্তু রমজানের পর থেকে যারা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত, তাদের নানা ট্যাগ লাগিয়ে হামলা, হুমকি ও মামলা দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকেও তেমন সহায়তা দেখা যাচ্ছে না। আর যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, এখন প্রতিটি বক্তব্যকে রাজনৈতিক স্টেটমেন্ট হিসেবে ধরা হচ্ছে। অথচ এই প্ল্যাটফর্মটি মূলত জনতার কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা রাখত। কিন্তু সেই ভয়েসটি দুর্বল হয়ে যাওয়ায়, আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিগুলো যারা চায় না জনগণ শক্তিশালী হোক—তারা এখন এই প্ল্যাটফর্ম বা এর সঙ্গে যুক্তদের উপর হামলা চালাচ্ছে, ট্যাগ করছে, নানা জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছে।”
পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করে উমামা ফাতেমা বলেন,
“বাংলাদেশ এখন একটি স্পষ্ট ক্রান্তিকালের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি দেশের জন্মের পর কখনো দেখা যায়নি। আমাদের উচিত যার যার অবস্থান থেকে এই বাস্তবতাকে উপলব্ধি করা। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই বোঝাপড়ার জায়গায় ঘাটতি রয়েছে।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Wtar-8GncmA
আবীর