
অতিরিক্ত সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা, শরীরের অন্তর্নিহিত সমস্যা, বংশগত কারণ কিংবা অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস—এই সবকিছুই ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে এবং চোখের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ চোখের সমস্যা সমাধানে চোখে ড্রপ, ওষুধ কিংবা চিকিৎসার ওপর নির্ভর করেন। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খাওয়া হলে প্রাকৃতিকভাবেই দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। নিচে এমন কিছু খাবার এবং সেগুলোকে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সহজভাবে যুক্ত করার উপায় তুলে ধরা হলো।
চোখের স্বাস্থ্য উন্নয়নে কার্যকর পুষ্টিগুণ
-
গাজর: ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ যা ম্যাকুলার degeneration কমাতে সহায়তা করে।
-
पालং শাক (Spinach): লুটিন ও জিয়াজান্থিনের ভালো উৎস, যা চোখকে আলো থেকে সুরক্ষা দেয় এবং oxidative স্ট্রেস কমায় ।
-
সালমন মাছ: স্যালমন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা রক্তনালিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ও সামগ্রিক চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাছাড়া খাদ্যতালিকায় স্যালমন সঠিকভাবে গ্রহণ করলে চোখের কিছু রোগের ঝুঁকিও কমতে পারে।
-
ডিম: ডিমের কুসুমে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও লুটেইন ও জিয়াজ্যানথিনের মতো উপাদান, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে পারে। পাশাপাশি ডিম টিস্যু পুনর্গঠনে সহায়তা করে, যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
-
মিষ্টি আলু: বিটা-ক্যারোটিনের ভালো উৎস, যা চোখ ও স্বাস্থ্য উভয়েই উন্নয়ন করে ।
চোখের পুষ্টি: গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ
-
ভিটামিন A (বিটা‑ক্যারোটিন): কম রাত চোখে সমস্যা, Night blindness রোধ, মাকুলার স্বাস্থ্য রক্ষা করে ।
-
ভিটামিন C: ক্যাটারাক্ট ও ম্যাকুলার degeneration রোধে সহায়ক, চোখের দৃঢ় রক্তনালী গঠন করে ।
-
ভিটামিন E: চোখের ফ্যাট কোষ ও কোষীয় ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয় ।
-
লুটিন ও জিয়াজান্থিন: Blue light শোষণ ও রেটিনার কোষ রক্ষা করে; বয়স্কদের জন্য রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ।
-
ওমেগা‑3 ফ্যাটি অ্যাসিড: চোখের শুষ্কতা কমায়, রেটিনা সুরক্ষায় সহায়ক ।
-
জিঙ্ক: রেটিনা স্থিতি রক্ষা, আল্ট্রাভায়োলেট ও আলোর ক্ষতির প্রতিরোধ করে ।
সানজানা