
ছবি: সংগৃহীত
যকৃত বা লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমলে ধীরে ধীরে লিভারের কার্যকারিতা নষ্ট হয়। ফলে সেরোসিস, হেপাটাইটিসসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে ডায়েট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সহজেই লিভারের চর্বি কমানো সম্ভব।
নিউট্রিহোম নিউট্রিশন সেন্টারের পুষ্টিবিদ ডা. গুয়েন আং দাই তুং যকৃতের চর্বি কমাতে ৬টি কার্যকর খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ দিয়েছেন:
১. ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করুন
ওজন বাড়লে লিভারে চর্বি জমার ঝুঁকি বাড়ে। তাই প্রতিদিনের মোট ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে হবে।
২. আঁশযুক্ত খাবার খান
শাকসবজি, ফল, বাদাম, বীজ ও সিরিয়ালজাত খাবার বেশি খান। এগুলো সহজে পেট ভরিয়ে রাখে, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ক্ষতিকর চর্বির শোষণ কমায়।
৩. উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করুন
রান্নায় প্রাণিজ চর্বির বদলে অলিভ অয়েল, ক্যানোলা অয়েল বা তিলের তেলের মতো উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করুন। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমবে।
৪. সহজপাচ্য প্রোটিন বাছুন
মাছ, চিকেন ব্রেস্ট, টোফু বা মুসুর ডালের মতো সহজপাচ্য প্রোটিন খেতে হবে। লাল মাংস বা চর্বিযুক্ত মাংস কমাতে হবে।
৫. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খান
স্যামন, ম্যাকারেল, চিয়া বীজ বা আখরোটের মতো ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার লিভারের প্রদাহ কমায় এবং চর্বির বিপাকক্রিয়া উন্নত করে। এগুলো লিভার ফাইব্রোসিসও প্রতিরোধ করে।
৬. অ্যালকোহল ও জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন
অ্যালকোহল, বিয়ার, ওয়াইন, কোমল পানীয়সহ সব ধরনের অ্যালকোহল দূরে রাখতে হবে। পাশাপাশি ফাস্ট ফুড, ভাজাপোড়া, আইসক্রিম, মিষ্টি, অঙ্গপ্রত্যঙ্গজাত খাবার কম খেতে হবে।
অতিরিক্ত পরামর্শ:
-
লবণের পরিমাণ কমান, এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং লিভারের চাপ কমবে।
-
না খেয়ে থাকা বা অতিরিক্ত কঠোর ডায়েট এড়িয়ে চলুন। বরং দিনে কয়েকবার অল্প অল্প করে খাবার খান, এতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, মেটাবলিজম ঠিক থাকবে এবং অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স এড়ানো যাবে।
-
সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা, সাঁতার বা ইয়োগার মতো হালকা ব্যায়াম করুন।
-
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মানা জরুরি।
-
ওয়াসাবিয়া জাপোনিকা ও এস. মেরিয়ানামের মতো প্রাকৃতিক উপাদান গ্রহণ করলে হজম ভালো হয়, লিভারের কার্যকারিতা বাড়ে এবং যকৃতের রোগের অগ্রগতি রোধ হয়।
আবির