ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

চুরির পর পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১১:৩২, ১৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১১:৩৭, ১৬ জুলাই ২০২৫

চুরির পর পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গভীর রাতে এক পুলিশ সদস্যের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুটি মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। সোমবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর স্বামী কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত। ঘটনার সময় তিনি কর্মস্থলে ছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাতের নীরবতায় এক অজ্ঞাত যুবক রান্নাঘরের জানালা ভেঙে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। তার হাতে ছিল একটি টর্চলাইট ও একটি ধারালো দা। ঢুকেই অস্ত্রের মুখে স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

ধর্ষণের সময় ঘরে থাকা তার দুই শিশু সন্তান চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। তাঁদের কান্না শুনে পাশের ভাড়াটিয়ারা ছুটে আসেন। পরে খবর পেয়ে রাতেই বাসায় ফেরেন পুলিশ সদস্য।

পরদিন সকালে ভুক্তভোগীর স্বামী চকরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ চুরি, ভয়ভীতি ও ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।

এদিকে কক্সবাজারে সম্প্রতি একের পর এক ভয়াবহ অপরাধের ঘটনা ঘটে চলছে। পর্যটননির্ভর এই জেলায় ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক কারবার, অস্ত্র চোরাচালান এবং রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট অপরাধ বেড়েই চলেছে। এবার পুলিশের পরিবারের সদস্য নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার হওয়ায় জনমনে চরম উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরাধীরা এখন এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, রাতের আধারে একটি পরিবারকেও ঘরে ঢুকে রেহাই দিচ্ছে না। তাদের মতে, পুলিশের পরিবারের সদস্যই যদি নিরাপদ না থাকেন, তাহলে সাধারণ মানুষের ভাগ্যে কী আছে?

ভুক্তভোগীর স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলছেন, ধর্ষককে গ্রেপ্তার করলেই চলবে না, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার বিচার হওয়া জরুরি। নইলে এমন দুঃসাহসী ঘটনা আরও ঘটবে, আর মানুষ বিচারহীনতার গ্লানিতেই জর্জরিত থাকবে।

মিরাজ খান

×